ইগলু আইসক্রিমকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৩৯ পিএম, ১৪ মে ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৩:০৯ পিএম, ১৫ মে ২০১৯ বুধবার
নোংরা পরিবেশে আইসক্রিম তৈরি ও আইসক্রিমে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ব্যবহার না করার অভিযোগে রাজধানীর শ্যামপুরে আব্দুল মোনেম লিমিটেডের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইগলু আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়ে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ অভিযান শুরু হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তুষার আহমেদ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী আইসক্রিম যেই তাপমাত্রায় রাখার কথা ইগলুর ফ্রিজের তাপমাত্রা তার চেয়ে অনেক বেশি। এছাড়া ফ্যাক্টরির ভেতরে বিচ্ছিন্নভাবে প্যাকেট ভরা গলিত আইসক্রিম পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এমন অবস্থায় কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখা চান ম্যাজিস্ট্রেট। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য সন্তোষজনক না হওয়ায় নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ অনুসারে প্রতিষ্ঠানটিকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তুষার আহমেদ বলেন, আইসক্রিম তৈরির মেশিনের দুইটি দিক থাকে। একদিক থেকে কাঠি ঢুকানো হয়, আরেক দিক থেকে আইসক্রিম তৈরি হয়ে বাইরে বের হয় (এক্সিট পয়েন্ট)।
যেখানে আইসক্রিমগুলো বের হয় সেই জায়গাটি অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় পাওয়া যায় বলে জানান তিনি। এ কারণে নিরাপদ খাদ্য আইনের ৩৩ ধারায় তাদের ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি পণ্য মোড়কীকরণ ও লেবেলিং রেগুলেশনের শর্ত পুরোপুরি না মানায় আইনের ৩২ (ক) ধারায় আরও ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান ইগলু গ্রুপের এমডি কামরুল হাসান বলেন, আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই আমরা আইসক্রিম তৈরি করে আসছি। গলিত আইসক্রিম যেহেতু আমরা প্রক্রিয়াজাত করিনা, তাই সেটা সাধারণ মানুষকে খাওয়ানোর প্রশ্নই ওঠেনা।
নিরাপদ খাদ্য আইনের ৩২ (ক) ধারায় উল্লেখ আছে, পণ্য সরকার নির্ধারিত মোড়কীকরণ, চিহ্নিতকরণ ও লেবেল সংযোজন ছাড়া বিতরণ বা বিক্রি করা যাবে না।
এছাড়া ৩৩ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিবেচিত প্রক্রিয়ায় খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, বিক্রয় করা যাবে না।
আই//এসি