বঙ্গবন্ধু অবিনাশী চেতনার বাতিঘর: মিনার মনসুর
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:০১ পিএম, ১৪ মে ২০১৯ মঙ্গলবার
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের নবনিযুক্ত পরিচালক কবি মিনার মনসুর বলেছেন ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের অবিনাশী চেতনার বাতিঘর। তিনি আমাদের একটি দেশ উপহার দিয়ে গেছেন। এজন্য আমরা বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে চলার মতো আত্মপরিচয় পেয়েছি। তিনি বাঙ্গালীর জন্য রেখে গেছেন সোনার বাংলার এক আকাশচুম্বী স্বপ্ন।’
মঙ্গলবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করার পরে ‘বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে’ রক্ষিত পরিদর্শন বইতে তিনি এসব মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা যেন তাঁর অতুলনীয় আত্মত্যাগ এবং দেশ ও জনগণের প্রতি তাঁর অনন্য ভালোবাসার যথাযোগ্য প্রতিদান দিতে পারি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর প্রাক্কালে এটাই হোক আমাদের আন্তরিক প্রত্যাশা ও অঙ্গীকার।’
এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উপ-পরিচালক সুহিতা সুলতানাসহ সংস্থার সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ, সিনিয়র সভাপতি মিলনকান্তি নাথ, সহ-সভাপতি মো.গফুর হোসেন, যুগ্ম-নির্বাহী পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেনসহ সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত ৭ মে কবি মিনার মনসুরকে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক পদে নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে। মিনার মনসুর কবি হিসেবে অধিক সমাদৃত হলেও সম্পাদক, প্রকাশক ও সংগঠক হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন পঁচাত্তর-পরবর্তীকালে। তিনি চরম প্রতিকূলতার মধ্যে ১৯৭৯ সালে প্রকাশ করেছেন ‘শেখ মুজিব একটি লাল গোলাপ’ নামে মাইলফলক গ্রন্থ। পঁচাত্তরের নজিরবিহীন নৃশংসতার পর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এটিই ছিল গ্রন্থাকারে প্রকাশিত প্রথম স্মারক সংকলন। অবশ্য এর আগেই বঙ্গবন্ধুর তৃতীয় শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৯৭৮ সালের ১৫ আগস্ট তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ‘এপিটাফ’-এর একটি বিশেষ সংখ্যা। তাঁর একাধিক কাব্যগ্রন্থ, জীবনীগ্রন্থ, গবেষণামূলক প্রবন্ধগ্রন্থ এবং সম্পাদিত গ্রন্থ রয়েছে।
কেআই/