কলসিন্দুরের মেয়ে ফুটবলারদের মেডেল পুড়লো আগুনে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:০০ পিএম, ১৪ মে ২০১৯ মঙ্গলবার
কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে গুরুত্বপূর্ণ কাগজ, সনদ এবং ফুটবল দলের পাওয়া মেডেল পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার স্কুলের স্টাফ রুমে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় পুলিশ বলছে, কে বা কারা এই আগুন দিয়েছে এবং কেন দিয়েছে- তা এখনও পরিষ্কার নয়।
কলসিন্দুর স্কুলের মেয়েরা জাতীয় পর্যায়ের ফুটবল প্রতিযোগিতায় তিন তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এবং জাতীয় দলেও এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমপক্ষে ১০ জন খেলোয়াড় রয়েছেন।
ঘটনার পরপরই ওই কলেজে গিয়েছিলেন হালুয়াঘাটের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমগীর। তিনি বলেন, তারা এই ঘটনা তদন্ত করে দেখছেন।
মোহাম্মদ আলমগীর জানান, একজন স্কুল শিক্ষক যিনি সকালবেলা কিছু ছাত্রের জন্য বিশেষ ক্লাস নেন, তিনি তার একজন ছাত্রকে শ্রেণিকক্ষের চাবি আনার জন্য স্টাফ রুমে পাঠান।
ছাত্রটি সেই ঘরে ঢুকতে গিয়ে দেখে ভেতর থেকে ধোঁয়া বেরুচ্ছে, তখন সে ছুটে গিয়ে শিক্ষককে জানায়।
আলমগীর বলেন, এর পর ওই শিক্ষক এবং অন্য ছাত্ররা মিলে ভেতরে ঢুকতে পায় যে ঘরের আলমারীগুলো খোলা, আর মাঝখানে শিক্ষকদের বড় টেবিলের ওপর জড়ো করা কিছু কাগজপত্রে আগুন জ্বলছে। তারা ঘরে থাকা একটি কলসের পানি দিয়ে আগুন নেভান।
আলমগীর বলেন, যে কাগজগুলোতে আগুন জ্বলছিল তার মধ্যে ছিল কয়েকজন শিক্ষকের স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট, ছাত্রদের হাজিরা খাতাসহ কিছু দলিলপত্র, হাজার তিনেক নগদ টাকা এবং কলসিন্দুরের মেয়েদের ফুটবল দলের বেশ কিছু মেডেল।
এ ঘটনার জন্য বিশেষ কাউকে কি সন্দেহ করা হচ্ছে? জবাবে পুলিশ সুপার আলমগীর বলেন, তারা বিশেষ কাউকে এ জন্য সন্দেহ করছেন না। "তবে কিছৃ বিষয় তারা মাথায় নিয়েছি, অভিযোগ দেওয়া হলে ওই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা সামনে এগুবো।"
এখানকার মেয়েরা ফুটবল খেলছে এ ব্যাপারটার সঙ্গে কি আগুন দেবার কোন সম্পর্ক আছে? এ প্রশ্ন করা হলে আলমগীর বলেন, তিনি তা মনে করেন না বা এলাকার লোকও মনে করছেন না।
সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, তিনি সেদিনও দেখেছেন, মেয়েদের দুটি দল ফুটবল খেলছে। এই মেয়েদের ফুটবল খেলার জন্য ধোবাউড়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ সরকারি হতে যাচ্ছে, এলাকায় বিদ্যুৎ এসেছে।
তার কথায়, স্থানীয় লোকদের মধ্যে মেয়েদের ফুটবল খেলা নিয়ে কোন আপত্তি তিনি দেখেননি।
এসএইচ/