ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

সামাজিক গল্পের আকাল বাংলা চলচ্চিত্রে, দর্শকের দৃষ্টি ভারতীয় চলচ্চিত্রে

প্রকাশিত : ০১:১৮ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০১৬ শুক্রবার | আপডেট: ০১:১৮ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০১৬ শুক্রবার

বাংলা চলচ্চিত্রে সামাজিক গল্পের আকাল চলছে। অন্যদিকে আকাশ সংস্কৃতির প্রভাবে দর্শকের দৃষ্টি টানছে ভারতীয় চলচ্চিত্র। এছাড়া যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ছবির লাভের ৩০ শতাংশও ঘরে তুলতে পারছেন না দেশীয় অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠানগুলো। নানামূখী এসব সমস্যা সমাধানে নির্মাণ কৌশল, গল্প এবং প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের। বাংলা চলচ্চিত্রের চালচিত্র নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব। পৃথিবীর অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী হতো। নির্বাক চলচ্চিত্র। সময়টা ১৮৯০ এর দশকে। আর ১৯৫৬ সালে প্রথম চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে বাংলা চলচ্চিত্র। পরবর্তীতে পরিবার ও সামাজিক ঘটনার প্রেক্ষাপট নিয়ে গল্পনির্ভর ছবি নির্মাণ শুরু হয়। দর্শকের কাছে রূপালী পর্দা দারুন জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সামাজিক অনাচার, জীবনবোধ, দুঃখ-দুর্দশা আর প্রেম প্রণয় সপ্রতিভ করতে নির্ভরতার জায়গা হয়ে ওঠে বাংলা চলচ্চিত্র। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ৬০ থেকে ৯০ দশক পর্যন্ত সময়টা বাংলা চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগ। প্রেক্ষাপট পাল্টে যায় ২০ শতকের শুরু থেকে। সামাজিক গল্পের নামে বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়। এসব ছবিতে গল্পের চেয়ে মুখ্য হয়ে যায় চটুল প্রেম আর অশ্লীলতা। ভাঙনের শুরুটা চলচ্চিত্র জগতের অগ্রজদের জন্য অনেকটাই বেদনার। তারা বলেন, গল্প গ্রহণযোগ্য না হলে ছবির নেপথ্যের উদ্দেশ্যই মিথ্যে হয়ে যায়। নির্মাণ কৌশল ও চরিত্রকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে গল্পের আনুগত্যের জায়গাটি বেদখল হয়ে গেছে বলে মনে করেন নির্মাতারা। ভারতীয় চলচ্চিত্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সমকক্ষ হতে বাজেট সংকট, সেন্সরবোর্ড জটিলতা এড়িয়ে ভালো গল্পের ছবি নির্মাণের পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।