ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

রমজানে উম্মতে মোহাম্মদীর পাঁচটি বিশেষ সুযোগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:২৯ পিএম, ১৫ মে ২০১৯ বুধবার

অন্যান্য নবীর উম্মতের চেয়ে রাসূলে করীম (সা.) এর উম্মতের জন্য আল্লাহতায়ালা পাঁচটি বিশেষ সুযোগ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘রমজান মাসে আমার উম্মতকে পাঁচটি বিশেষ সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যা আমার পূর্ববর্তী কোন নবীকে দেয়া হয়নি।

তাহলো-

১. রমজানের প্রথম রাতে আল্লাহতায়ালা তাদের দিকে দৃষ্টি দেন। আর আল্লাহ যার দিকে দৃষ্টি দেন, তাকে কখনো শাস্তি দেন না।

২. সন্ধ্যার সময় তাদের মুখে যে দুর্গন্ধ হয়, তা আল্লাহর কাছে মেশকের সুগন্ধির চেয়েও অধিক প্রিয়।

৩. রমজানের প্রত্যেক দিনে ও রাতে ফেরেশতারা রোযাদারদের জন্য দোয়া করেন।

৪. আল্লাহতায়ালা তাঁর বেহেশতকে বলেন, ‘তুমি আমার বান্দাদের জন্য সুসজ্জিত হও ও প্রস্তুত হও। আমার বান্দারা অচিরেই দুনিয়ার দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি পেয়ে আমার বাড়িতে ও আমার সম্মানজনক আশ্রয়ে এসে বিশ্রাম নিবে’।

৫. রমজানের শেষ রাতে আল্লাহপাক তাদের সব গোনাহ মাফ করে দেন। এক ব্যক্তি বললো, এটা কি লাইলাতুল কদর? রাসূল (সা.) বললেন, না, তুমি দেখনি, শ্রমিকরা যখন কাজ শেষ করে, তখনই পারিশ্রমিক পায়।’ (রায়হাকী)

হযরত সাহল ইবনে সা’দ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘জান্নাতের একটি দরজা আছে উহাকে রাইয়ান বলা হয়। এই দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন একমাত্র রোযাদার লোকেরাই জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের ছাড়া অন্য কেউ এই পথে প্রবেশ করবে না। সেদিন এই বলে ডাক দেওয়া হবে রোযাদার কোথায়? তারা যেন এই পথে প্রবেশ করে। এভাবে সকল রোযাদার ভেতরে প্রবেশ করার পর দরজাটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। অতঃপর এ পথে আর কেউ প্রবেশ করবে না।’ (বুখারী ও মুসলিম)

তথ্যসূত্র : মাওলানা হারুনুর রশিদের রমজানে করণীয় ও বর্জনীয় গ্রন্থ।

এএইচ/