ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

সমাধান চান ৩৯তম বিসিএসে উত্তীর্ণ চিকিৎসকরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:০৪ পিএম, ১৬ মে ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০২:৪৬ পিএম, ১৬ মে ২০১৯ বৃহস্পতিবার

দফায় দফায় কর্মসূচি পালন করছেন ৩৯তম বিসিএসে উত্তীর্ণ চিকিৎসকরা। এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিসিএসে উত্তীর্ণরা ক্যাডারভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করে তারা। পরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান ও লাগাতার কর্মসূচির ডাক দেয় তারা।

বঞ্চিত চিকিৎসকদের সম্বনয়ক ডা. দেবাশিষ দেব দেবু বলেন, ‘চিকিৎসক সংকট সমস্যার সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী গত ২০১৭ সালের এপ্রিলে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। নির্দেশ মোতাবেক বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) ৩৯তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার আয়োজন করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পিএসসি’র পরিপত্রে সাড়ে চার হাজার ডাক্তার নিয়োগের কথা বলা হলেও তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম অন্তত সাত হাজার এবং সম্ভব হলে দশ হাজার ডাক্তারই নিয়োগের ইচ্ছা প্রকাশ করে। একই কথা বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর মুখেও শোনা যায়। গ্রামে যেতে ইচ্ছুক প্রায় ৩৮ হাজার ডাক্তার ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে অংশ নেয়। আর তাতে প্রাথমিক বাছাই পর্বে টিকে ১৩ হাজার ২০০ জন ‘

দেবু আরও জানান, ‘পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষা নেয়ার পর পিএসসি স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় বরাবর সাড়ে চার হাজার ছাড়াও অতিরিক্ত সাড়ে ২২৫০ জন ডাক্তার নিয়োগের ব্যাপারে চিঠি দেয়। কিন্তু জনপ্রশাসন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বিত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় পিএসসি তার পরিপত্র মোতাবেক সাড়ে চার হাজার ডাক্তারকে সুপারিশ করতে বাধ্য হয়।’

জানানো হয়, ৮৩৬০ জন চিকিৎসক লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় কৃতকার্য হলেও শুন্য পদের সংখ্যা কম হওয়ায় উত্তীর্ণ সকল প্রার্থীকে বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসে নিয়োগের সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি।

সুপারিশকৃত ৪৭৯২ জন ডাক্তার ছাড়াও কৃতকার্য কিন্তু নন ক্যাডার আরো ৮৩০০ জন ডাক্তার গ্রামে যেয়ে সেবা দিতে ইচ্ছুক। তাই আমলাতিন্ত্রিক জটিলতা কাটিয়ে এই দক্ষ জনবলকে কিভাবে সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় একীভূত করা যায় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন আন্দোলনকারীরা।

এ বিষয়ে ডা. রাফা বলেন, ‘দেশে স্বাস্থ্যখাতে চিকিৎসক সংকট দীর্ঘদিনের। সারাদেশে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি হাসপাতাল রয়েছে। নতুন পদের সৃষ্টি করে হলেও তাদের বিপুল পরিমাণ নন ক্যাডারকে পদায়ন করা হোক।’

প্রসঙ্গত, চিকিৎসক সংকট কাটিয়ে গ্রামে গিয়ে সেবা দেয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পালনেরও দাবি জানান তারা। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কাটিয়ে দক্ষ জনবলকে সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থায় একীভূত করার বিষয়ে উদ্যোগ নেয়ারও কথা বলেন তারা।

এসএ/