বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস আজ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৪৯ এএম, ১৭ মে ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ১১:০০ এএম, ১২ জুন ২০১৯ বুধবার
আজ ১৭ মে ‘বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস’। প্রতিবারের ন্যায় এবারও সারা বিশ্বে দিবসটি পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশও এর ব্যাতিক্রম নয়। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়: আপনার রক্তচাপ জানুন।
দিবসটি উপলক্ষে আজ শুক্রবার সারাদেশে আলোচনা সভা, শোভযাত্রাসহ সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হবে। তবে সরকারি ছুটির দিন হওয়ার কারণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অনেক প্রতিষ্ঠানে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দিবসটি পালন করা হয়।
আসলে দিন দিন উচ্চ রক্তচাপ মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তবে আক্রান্তদের অনেকেই বিষয়টি বুঝতে পারে না। প্রায়ই উচ্চ রক্তচাপ একটি স্থায়ী রোগ হিসেবে বিবেচিত হয়, অর্থাত্ এ রোগ ভালো হয় না। এর জন্য চিকিত্সা ও প্রতিরোধ দুইটাই জরুরি। অন্যথায় বিভিন্ন জটিলতা, এমনকি হঠাত্ মৃত্যুর ঝুঁকিও থাকে।
জেনে রাখা জরুরি, উচ্চ রক্তচাপ ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে। অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপের কোনও প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যায় না এবং এটাই এর সবচাইতে ভীতিকর দিক। যদিও অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপের রোগীর কোনও লক্ষণ থাকে না, তবুও নীরবে উচ্চ রক্তচাপ শরীরের বিভিন্ন অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এ জন্যই উচ্চরক্তচাপ কে ‘নীরব ঘাতক’ বলা যেতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত এবং চিকিত্সাবিহীন উচ্চ রক্তচাপ থেকে মারাত্মক শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়।
উচ্চ রক্তচাপ নীরব ঘাতক
১. হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিডনি রোগের জন্য উচ্চ রক্তচাপ একটা প্রধান কারণ।
২. অধিকাংশ সময় হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপের নির্দিষ্ট কোনও লক্ষণ এবং উপসর্গ থাকে না।
৩. উচ্চ রক্তচাপ-এর চিকিৎসা করা না হলে এটি মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মারত্মক ক্ষতি করে। যেমন- হার্ট অ্যাটাক বা করোনারী হৃদরোগ, স্ট্রোক বা পক্ষাঘাত, স্মৃতিভ্রংশ, কিডনি বিকল, অন্ধত্ব ইত্যাদি।
আপনার ঝুঁকি জানুন
১. একজন স্বাস্থ্য কর্মী বা ডাক্তারের নিকট থেকে আপনার রক্তচাপ জানুন।
উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে করণীয়
১. অতিরিক্ত ও পাতে আলগা লবণ খাবেন না।
২. শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
৩. শাকসবজি ও ফলমুল বেশি খান।
৪. নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করুন।
৫. নিয়মিত রক্তচাপ মাপুন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
৬. রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়মিত মাপুন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
৭. তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।
৮. চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যাতীত ওষুধ পরিবর্তন বা সেবন বন্ধ করবেন না।