ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

পশ্চিমবঙ্গ আপনার ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়: মমতাকে মোদী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৭ এএম, ১৭ মে ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ১০:৫৮ এএম, ১৭ মে ২০১৯ শুক্রবার

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ আপনার ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। আপনার অহঙ্কারের উত্তর দেবে বাংলার মানুষ।’ বৃহস্পতিবার রাজ্যে শেষ দফার নির্বাচনী প্রচারে এসে মথুরাপুরের সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ কথা বলেন মোদী।

তিনি বলেন, মমতা এবং তার ভাইপো সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গকে নিজেদের ‘জায়গির’ ভেবে নিয়েছেন।

তৃণমূল অবশ্য মোদীর ওই মন্তব্যকে বিজেপির পরাজয়ের ইঙ্গিত বলে মনে করছে। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এত দিন উনি কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে চাপ তৈরি করেছেন। এখন জনগণের প্রত্যাখ্যান বুঝে মমতা এবং অভিষেকের প্রতি ব্যক্তিগত আক্রমণ তীব্র করছেন। এতে ওদের লাভ হবে না। উল্টে মমতারই সমর্থন বাড়বে।’’

অভিষেক সম্পর্কে মোদী-অমিত শাহদের নিয়মিত আক্রমণের জবাবে এ দিন ডায়মন্ড হারবারের সভায় পাল্টা অভিযোগ করেন মমতা।

তিনি বলেন, ‘‘নোংরামির একটা সীমা আছে! কাল প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অভিষেক অফিস বানিয়েছে ফুটপাত দখল করে। তালা দেবেন বলেছেন। উনি জানেন না, ওই অফিসটার নীচে একটা প্যান্ডেল করা আছে। সেখানে পুলিশ এসে বসে। সাধারণ মানুষ এসে বসে। কিচ্ছু জানেন না, বলছেন তালা দেবেন! দিয়ে দেখুন!’’

অভিষেকের স্ত্রীকেও ‘হেনস্থা’ করার অভিযোগ তোলেন মমতা। তার কথায়, ‘‘অভিষের বউ পঞ্জাবের মেয়ে। বাচ্চা মেয়ে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে জানি, সে লোভী নয়। ওর দু’টো সোনার জলে চোবানো বালা ছিল। এ বার ওর পিছনেও লেগেছে। অভিষেককে টানো, বউকে টানছ কেন?’’

মথুরাপুর এবং দমদম— এ দিন দুই সভাতেই গণতন্ত্রের প্রশ্নে মমতাকে তীব্র আক্রমণ করেন মোদী।

মথুরাপুরে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের গুন্ডারা এখানে হিংসার পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। ফলে গণতন্ত্রের বদনাম হচ্ছে।’’

মোদীর অভিযোগ, মমতা বিজেপি কর্মীদের ঘর এবং দলের কার্যালয় দখল করার হুমকি দিয়েছেন। জমি এবং সম্পত্তি দখলের মানসিকতা থেকেই তার এই প্রয়াস।

এই প্রেক্ষিতেই তিনি বলেন, ‘‘মমতা দিদি, ভোটে জয়-পরাজয় আসে যায়। এটাই গণতন্ত্রের লক্ষণ। বাংলার জনতা এক সময় আপনাকে এত শক্তি দিয়েছিল। আজ সেই জনতাই আপনাকে হঠাতে চাইছে একেবারে খোলাখুলি। দিদি, বাংলার সত্যকে স্বীকার করুন।’’

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার

এমএইচ/