রোজা তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৪৯ পিএম, ১৭ মে ২০১৯ শুক্রবার
রমজানে কেন রোযা ফরজ করা হলো? তাকওয়ার ভীতকে মজবুত, লালন ও সুসংহত করার জন্য রোযা ফরজ করা হয়েছে। পবিত্র রমজানে নাজিল করা হয়েছে মহাগ্রন্থ আল কুরআন। আল কুরআন হচ্ছে মানুষের হেদায়াতের মূল উৎস।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন : ‘রমজান মাসতো সেই মাস, যাতে কুরআন নাজিল করা হয়েছে, যা মানুষের জন্য হেদায়াত আর যা সুস্পষ্ট পথ নির্দেশনা আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য সৃষ্টির মানদণ্ড।’ (সূরা বাকারা ১৮৫)
কুরআন মানুষের হেদায়াতের উৎস হলেও সব মানুষ এ সুস্পষ্ট উৎস থেকে হেদায়াত অর্জন করতে পারে না। এর থেকে হেদায়াত অর্জন করতে পারে শুধু তারাই যাদের মাঝে তাকওয়া বা আল্লাহর ভয় আছে। যারা আল্লাহর ব্যাপারে বেপরোয়া, তারা কুরআন থেকে হেদায়াত নেয় না। কুরআন থেকে হেদায়াত অর্জনের জন্য তাকওয়ার যোগ্যতা প্রয়োজন। তাই আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন : ‘এ সেই কিতাব যাতে কোন সন্দেহ নেই, তা হচ্ছে তাকওয়াসম্পন্ন লোকদের জন্য হেদায়াত।’ (সূরা বাকারা ২)
এ আয়াত থেকে বুঝা গেল কুরআন থেকে হেদায়াত পাওয়ার অনিবার্য শর্ত হলো ‘তাকওয়া’ বা আল্লাহর ভয়। মহান আল্লাহর ভয় অর্জন ও তাকে দৃঢ় করার উদ্দেশ্যেই রোযা ফরজ করা হয়েছে। কুরআন নাজিল হয়েছে রমজান মাসে। কুরআন থেকে হেদায়াত পাওয়ার শর্ত তাকওয়া আর রোযা তাকওয়া অর্জনের অন্যতম মাধ্যম।
রমজানে একজন রোযাদার আল্লাহর ভয়েই দিনের বেলায় পানাহার ও নিষিদ্ধ কাজগুলো থেকে বিরত থাকে। পৃথিবীর কোন শক্তির পক্ষে সম্ভব নয় পানাহার ও নিষিদ্ধ কাজগুলো থেকে বিরত রাখার পরিবেশ সৃষ্টি করা। দণ্ডবিধির ভয়ে প্রকাশ্যে তা মেনে চললেও নির্জনে সে তা মানবে না। শুধুমাত্র আল্লাহর ভয় ও তার কাছে জবাবদিহিতার চেতনাতেই মুসলমানরা রোযা রাখে।
রোযাদার আল্লাহর উদ্দেশ্যে মসজিদমুখী হয়। পুরো দিন রোযা রেখে ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে তারাবীহ নামাজ আদায় করে। রাতের শেষ প্রহরে ঘুম থেকে জেগে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে। ধর্ণা দেয় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে। গোনাহের জন্য ক্ষমা চায়, আহাজারী করে তার শাহী দরবারে। অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় এ মাসে বান্দার মনে অন্যায় ও পাপের ভয় বেশি থাকে। এটাই হলো তাকওয়া।
তথ্যসূত্র : মাওলানা হারুনুর রশিদের রমজানে করণীয় ও বর্জনীয় গ্রন্থ।
এএইচ/