ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

টাইগারদের ছয় ফাইনালে যন্ত্রণার স্মৃতি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৪৮ পিএম, ১৭ মে ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ০৩:৫১ পিএম, ১৭ মে ২০১৯ শুক্রবার

আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে আজ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পিঠের বাঁ পাশের পেশির চোটে ত্রিদেশীয় ফাইনালে সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। তবে সাকিবকে ছাড়াও এই ম্যাচ টাইগারদের জয়ের সামর্থ্য রয়েছে বলে মনে করেন অধিনায়ক মাশরাফি।  

পুরো সিরিজেই দুর্দান্ত ছন্দে থাকা টাইগারদের চোখ এখন শিরোপায়। তবে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক কোনও টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে পারেনি বাংলাদেশ।

ত্রিদেশীয় সিরিজ ও অন্য টুর্নামেন্ট মিলে ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ছয়টি ফাইনাল খেলেও ট্রফি ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশ দল। রানার্সআপ হয়েই আগের ছয়বার সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে টাইগারদের। আসুন ঘুরে আসা যাক আগের ছয় ফাইনালের স্মৃতির পাতা থেকে-

ত্রিদেশীয় সিরিজ, ২০০৯

রবিন লিগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বোনাস পয়েন্টসহ দাপুটে এক জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। তাই সবার আশা ছিলো আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান বাংলাদেশ হয়তো মাত করবে ফাইনালেও।

ফাইনার ম্যাচে নিজেরা আগে ব্যাট করে ১৫২ রানে অলআউট হলেও, বল হাতে ঠিকই লঙ্কানদের চেপে ধরেন টাইগাররা। মাত্র ৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা। আর সেখান থেকে কুমার সাঙ্গাকারা ৫৯ রানের ইনিংস খেললেও ১১৪ রানেই ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে লঙ্কানরা।

কিন্তু তখনও তাদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ৩৫ রান। আর এই ৩৫ রানের মধ্যে একাই ৩৩ রান করে ফেলেন অফস্পিনার মুত্তিয়াহ মুরালিধরন। মাত্র ১৬ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কার মারে খেলা এ ইনিংসে স্বাগতিকদের হতাশার সাগরে ডোবান দশ নম্বরে ব্যাট করতে নামা এ স্পিন জাদুকর।

এশিয়া কাপ, ২০১২

দুর্দান্ত জয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠেছিল বাংলাদেশ, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পাকিস্তান। ম্যাচটিতে পাকিস্তানিদের ২৩৬ রানে বেঁধে রাখে টাইগাররা। তামিম ইকবালের টানা চতুর্থ সেঞ্চুরি এবং সাকিব আল হাসানের আসরে তৃতীয় ফিফটিতে লক্ষ্যে দিকেই ছুটছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু শেষপর্যন্ত শেষ ওভারে গিয়ে মাত্র ২ রানের জন্য শিরোপা জিততে ব্যর্থ হয় টাইগাররা।

এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি, ২০১৬

শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর এক জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে টাইগাররা। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ছিলো ভারত। তবে বৃষ্টির কারণে ১৫ ওভারে নেমে আসা সে ম্যাচে খুব বেশি কিছু করার ছিলো না টাইগারদের। ১৫ ওভারে ১২০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। কিন্তু বিরাট কোহলি এবং মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাটে ভর ৭ বল আগেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত।

ত্রিদেশীয় সিরিজ, ২০১৮

সিরিজের শুরুর তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষকে পাত্তাই দেয়নি স্বাগতিক বাংলাদেশ। অথচ শেষের দুই ম্যাচে গুবলেট পাকিয়ে শিরোপা হাতছাড়া হয় টাইগারদের। ফাইনাল ম্যাচে লঙ্কানদের করা মাত্র ২২১ রানের সংগ্রহ তাড়া করতে ব্যর্থ হয় মাশরাফির দল। মাত্র ১৪২ রানে অলআউট হয়ে টানা চতুর্থ ফাইনাল হারের স্বাদগ্রহণ করে।

নিদাহাস ট্রফি, ২০১৮

শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতার সত্তর বছর উপলক্ষ্যে আয়োজিত নিদাহাস ট্রফি টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনাল ম্যাচে ভারতের সঙ্গে লড়াইয়ে নামে বাংলাদেশ।

ম্যাচে ১৬৬ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। যা তাড়া করতে নেমে কখনোই তেমন সুবিধা করতে পারেনি ভারত। কিন্তু ইনিংসের ১৯তম ওভারে রুবেলের ওভারে ২২ রান তুলে বাংলাদেশের মুঠোয় থাকা ম্যাচ নিজেদের দিকে নিয়ে নেয় ভারত। তবু শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১২ রান। আর শেষ ওভারের প্রথম ৫ বলে ৭ রান খরচ করেন সৌম্য সরকার। কিন্তু শেষ বলে বাকি থাকা ৫ রানের চাহিদায় এক্সট্রা কভারের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে বাংলাদেশের স্বপ্ন চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয় ভারত।

এশিয়া কাপ, ২০১৮

সবশেষ এশিয়া কাপের ওই আসরে ফাইনালে পদার্পন করে টাইগাররা। যেখানে ফের তাদের প্রতিপক্ষ দাঁড়ায় ভারত। ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করে লিটন কুমার দাসের সেঞ্চুরির পরেও বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ২২২ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ।

কেদার যাদব বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ ২টি উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ম্যাচের শেষ বলে জিতিয়ে দেন দলকে। ফলে ষষ্ঠ ফাইনাল হারের তীব্র যন্ত্রণা পায় বাংলাদেশ।