ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

ঢাকার প্রাণ কেন্দ্রে অফিস খুঁজছে বিজিএমইএ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:২৬ পিএম, ১৭ মে ২০১৯ শুক্রবার

উত্তরায় নির্মাণাধীন বিজিএমইএ ভবনটি এখনো ব্যবহারযোগ্য হয়নি। ভবনটি পুরোপুরি প্রস্তুত করতে আরো দুই বছর সময় লাগতে পারে। এ পরিস্থিতিতে সংগঠনের দাপ্তরিকসহ সব ধরণের কাজ চালিয়ে নিতে অস্থায়ীভাবে ভাড়ায় অফিস খুঁজছে বিজিএমইএ।

জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে রাজধানীর গুলশান ও এর আশপাশের এলাকায় সাব অফিস করার কথা ভাবছেন সংগঠনের নেতারা। রাজধানীর প্রাণ কেন্দ্রে ভাড়ায় অফিসে কিছু কাজ ও উত্তরার অফিসে কিছু কাজ চালিয়ে নিতে চান তারা। যেমনটি করেন পোশাক খাতের অপর সংগঠন বিকেএমইএ। বিকেএমইএ’র ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের দুই অফিসেই দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

সূত্র জানায়, কাঁচামাল আমদানির প্রাপ্যতা সনদ (ইউডি) অনুমোদনসহ বেশ কিছু কাজে কারখানা প্রতিনিধিদের নিয়মিত বিজিএমইএ অফিসে যেতে হয়। এ ছাড়া রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) থেকে শুল্ক্কমুক্ত সুবিধার সনদ নিতে হয় প্রতিটি চালানে। এসব কার্যক্রমই ব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্কিত। ইপিবি অফিস রাজধানীর কারওয়ান বাজারে। আবার ব্যাংকিং সেবাও উত্তরার নতুন ভবনে গড়ে উঠেনি। পাশাপাশি উত্তরার নতুন ভবনে নিরাপত্তা ঝুঁকিও রয়েছে। এরই মধ্যে বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ শ্রমিকদের ওপর ডাকাতি হামলা হয়েছে। আর নিরাপত্তা ঝুঁকি ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ার কারণে বিদেশি ক্রেতারাও তেমন আসছে না নতুন ভবনে। এসব কারণে বাধ্য হয়েই মূল শহরে ভাড়া বাড়িতে অফিস করার চিন্তা করা হচ্ছে। গুলশান এলাকায় সুবিধামতো একটি বড় ভবন খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএর শীর্ষ এক নীতিনির্ধারক।

বিজিইএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফয়সাল সামাদ বলেন, আপাতত মনে হচ্ছে, আগামী দুই বছরেও ভবনটি পুরোপুরি ব্যবহারোপযোগী হবে না। নতুন ভবনটি থেকে কাজ চালিয়ে যাওয়া মুশকিল। এ কারণে আপাতত মূল শহরে সংশ্নিষ্ট সবার সুবিধামতো জায়গায় অফিস করার চিন্তা করছেন তারা।

গত শনিবার চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত সংগঠনের পরিচালনা পর্ষদের সভায়ও ভাড়ায় অফিস খোঁজার বিষয়টি আলোচনায় আসে। তবে এখনও বড় পরিসরে সুবিধামতো ভবন খুঁজে না পাওয়ায় এ ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

আরকে//