ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

মাঠে নামার আগে মোসাদ্দেককে যা বলেছিলেন মাশরাফি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০৯ এএম, ১৮ মে ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০১:০৬ পিএম, ১৮ মে ২০১৯ শনিবার

ত্রিদেশীয় সিরিজ ও অন্য টুর্নামেন্ট মিলে ২০০৯ সাল থেকে ছয়টি ফাইনাল খেলেও শিরোপা জয় সম্ভব হয়নি টাইগারদের। অবশেষে সেই শিরোপাটা এসে ধরা দিলো গতকাল শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দিয়ে। ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের ওভারে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের তাণ্ডবই দলকে এনে দেয় জয়ের স্বস্তি। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক মোসাদ্দেকের মনে পড়ছে অধিনায়কের দুটি কথা।

ডাবলিনে টসে জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। বৃষ্টিবিঘ্নিত ফাইনালে ওভার সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ২৪-এ।

দারুণ প্রয়োজনের সময় মোসাদ্দেকের ব্যাট হেসেছে বলেই দল হেসেছে শিরোপার হাসি। ২১০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিমের পর যখন মোহাম্মদ মিঠুনও আউট হলেন, ড্রেসিং রুমে অনেকের মাথা নুইয়ে এসেছিল হতাশায়। মাশরাফি উঠে দাঁড়ালেন চকিতে। নতুন ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেনের কাছে গিয়ে চাপড়ে দিলেন পিঠ। বললেন দুটি কথা। ম্যাচ শেষে মোসাদ্দেকের মনে পড়ছে অধিনায়কের সেই কথা।

ম্যাচটিতে মাত্র ২০ বলে ফিফটির দেশীয় রেকর্ড গড়েছেন মোসাদ্দেক। এদিন ২২তম ওভারে তিন ছক্কা ও এক চারে ২৫ রান নিয়ে দলের জয়কে হাতের মুঠোয় এনে দেন মোসাদ্দেক। ফলে ৭ বল বাকি থাকতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ।

মোসাদ্দেক বলেন, ওই ওভারটাই ছিল আমাদের ম্যাচ জয়ে টার্নিং পয়েন্ট। ওই ওভারের পর সবাই বুঝে গেছে ম্যাচের ফল কী হতে যাচ্ছে।

দলকে জিতিয়ে যখন ফিরছেন, মোসাদ্দেককে আবার পিঠ চাপড়ে দিলেন মাশরাফি। পরে মোসাদ্দেক জানালেন, অধিনায়কের কাছ থেকে পাওয়া প্রেরণার কথা।

‘উইকেটে যাওয়ার আগে মাশরাফি ভাই বলছিলেন, ‘মোসাদ্দেক তুই পারবি। যা ইচ্ছা খেল, শেষ করে আয়।’ শুধু ওই সময়ই নয়, আগের ম্যাচে বোলিংয়ের সময়, এমনকি এবার ঢাকা লিগের পুরো সময়, মাশরাফি ভাই আমাকে নানাভাবে উৎসাহ দিয়ে গেছেন। দলের বাইরে ছিলাম তখন। উনি বলেছেন যে, কি কি করলে দলে ফিরতে পারি। অধিনায়ক এমন ভরসা করলে আত্মবিশ্বাস সবসময়ই ভালো থাকে।’

মোসাদ্দেক আরও বলেন, ব্যাটিংয়ে যাওয়ার পর আমার একটি ব্যাপারই কাজ করছিল যে ইতিবাচক ক্রিকেট খেলব। এমন একটা পরিস্থিতি ছিল যে খুব সহজ ছিল না। আমি চেষ্টা করেছি বল বুঝে খেলতে। আর কিছু না। তবে শুধু তখন বা আগেই নয়, অনুপ্রেরণার পালা চলেছে ম্যাচ জুড়েই। বিশেষ করে ডাকওয়ার্থ-লুইসে যখন বাংলাদেশের লক্ষ্য নির্ধারিত হলো ২৪ ওভারে ২১০, সিনিয়ররা সবাই ড্রেসিং রুমে জুগিয়েছেন সাহস।

একে//