যেসব গুণের জন্য রোজা ফরজ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৩৭ এএম, ১৮ মে ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০২:১৯ পিএম, ১৯ মে ২০১৯ রবিবার
পবিত্র কুরআনে ‘তাকওয়া’ শব্দটি তিনটি অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। তাহলো- ভীতি, আনুগত্য আর পাপ মোচন। মহান আল্লাহ পাকের প্রতি ভয় রেখে তার প্রতি পূর্ণ আনুগত্যশীল হয়ে এবং যাবতীয় পাপ বর্জন করে তাকওয়া অর্জন করলেই তাকে মুত্তাকী বলা হয়। এই মুত্তাকিরাই রোজার ফজিলত লাভ করে থাকেন। রোজার গুণাবলি অনেক। যার জন্য রোজাকে ফরজ করা হয়েছে।
এবার দেখি রোজার গুণাবলি : তাকওয়া বা খোদাভীতির প্রশিক্ষণের মাস রমজান। রোজা আত্মশুদ্ধির ও আত্মগঠনের সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা। রোজা শয়তানের হামলা প্রতিহত করতে বিরাট ঢালস্বরূপ। যা বান্দাকে পাপ কাজ থেকে নিবৃত্ত রাখে।
রোজার মাধ্যমে ধৈর্য্য সহিষ্ণুতা ও বিনম্র স্বভাব গঠন করা যায়। মানুষের মধ্যে নেয়ামতের শুকরিয়ার চেতনা সৃষ্টি হয়। সুবেহ সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উপবাসে ক্ষুধার যন্ত্রণা উপভোগের মাধ্যমে রোজাদারকে দরদী, সংবেদনশীল ও সহমর্মী বানায়।
রমজান হচ্ছে কোরআন নাজিলের মাস, সেহেতু সিয়াম পালনের মাধ্যমে কোরআনের আলোকে সমাজ গঠনের প্রেরণা সৃষ্টি হয়। সিয়াম সাধনা বিশ্বব্যাপী মুসলিম সমাজের সাম্য, মৈত্রী, ভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসার জন্ম দেয়।
রমজানের রোজা বান্দার অতীত জীবনের সমস্ত পাপ মোচনের অন্যতম পন্থা বা উপায়। রোজার মাধ্যমে বান্দার জন্য রহমতের ব্যবস্থা হয়।
রোজা মানবতার চরিত্র বিধ্বংসী কুপ্রবৃত্তিকে প্রশমিত করে। রোজার উপবাসের দ্বারা ধনীরা যাতে বুঝতে পারে গরিবদের অনাহার ও কষ্টের কথা, যার দরুন গরিবদের দান সদকা করতে আগ্রহী হয়।
তথ্যসূত্র : মাওলানা হারুনুর রশিদের রমজানে করণীয় ও বর্জনীয় গ্রন্থ।
এএইচ/