‘বিতর্কিতদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি ছাত্রলীগ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:২৪ পিএম, ১৮ মে ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০৬:৩২ পিএম, ১৮ মে ২০১৯ শনিবার
দীর্ঘ এক বছর পর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর তৈরি হয় বিতর্কিত। নানা আলোচনা সমলোচনার পর ছাত্রলীগের কমিটি থেকে ‘বিতর্কিতদের’ বাদ দিতে গত বুধবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দেন।
এর পর বিতর্কিতদের বহিষ্কারে গত বুধবার মধ্যরাতে ২৪ ঘণ্টা সময় নিয়েছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। নির্ধারিত সময় পার করলে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এবিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের পক্ষে থেকে বলা হচ্ছে, ‘নিরপরাধ’কারও সঙ্গে যেন ‘অবিচার’না হয়, তার জন্য ‘বিতর্কিতদের’বহিষ্কারে তাঁরা সময় নিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে গোলাম রাব্বানী বলেছিলেন,‘গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, বিবাহিত, অছাত্র, মামলার আসামিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত ১৭ জনের নাম আমরা প্রাথমিকভাবে পেয়েছি। প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে তাঁদের বহিষ্কারের মাধ্যমে পদশূন্য ঘোষণা করে বঞ্চিতদের স্থান করে দেব।
তবে জানতে চাইলে আজ শনিবার দুপুরে গোলাম রাব্বানী বলেন, যে ১৬ জনের নাম সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৭ জন ইতিমধ্যে দালিলিক অকাট্য প্রমাণ দিয়েছেন যে তাঁদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। বাকিরাও বলছেন, তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা এবং তাদের কাছে তার প্রমাণ আছে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন। আওয়ামী লীগ নেতারা তাদের সময় নিতে বলেছেন যেন ‘নিরপরাধ’ কারও প্রতি ‘অবিচার’না হয়।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন,‘সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী এখনো কেউ আমাদের কাছে আনুষ্ঠানিক লিখিত অভিযোগ দেয়নি। যাঁরা অভিযোগ করেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছেন; আইনের ছাত্র হিসেবে বলি—অভিযোগ যিনি করেন, অভিযোগকে সত্য প্রমাণ করার দায়িত্বটা তাঁরই। কিন্তু এটি কেউ করেনি।
তবে পদবঞ্চিত ও কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়া বিক্ষুব্ধ অংশের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রলীগের বিগত কমিটির প্রচার সম্পাদক সাঈফ বাবু বলেন, ‘অভিযুক্তদের কাছে প্রমাণ থাকলে তা তাঁরা প্রকাশ করুক। সন্ধ্যায় আমরা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের কাছে যাব। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলব। ২৪ ঘণ্টা সময় নিয়ে ৪৮ ঘণ্টা পরও কেন তাঁরা পদক্ষেপ নিচ্ছে না, আমরা জানতে চাইব।’
টিআর/