কলারোয়ায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১২
কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৭:২৩ পিএম, ১৮ মে ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০৭:২৯ পিএম, ১৮ মে ২০১৯ শনিবার
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় শনিবার ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক ছাত্রলীগনেতা জিএম তুষারের ডান হাত কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে, তুয়ার (২৯), শহিদুল ইসলাম (৪৮), মন্টু (২৩), শেখ পলাশ (২৬), সিজান (১৮) সহ ১০/১২জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। গুরুতর আহত জিএম তুষার (২৯) কলারোয়া হাসাপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এবিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মেহেদী হাসান নাইস জানান, একটি জমি ক্রয় ও বিক্রয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো উপজেলার পাটলিয়া গ্রামের মুনসুর আলী গাজীর ছেলে সাবেক ছাত্রলীগনেতা জিএম তুষারের সঙ্গে।
এই নিয়ে বেলা ১টার দিকে কলারোয়া পৌরবাজারের ইসলামী ব্যাংকের সামনে ছাত্রলীগ নেতা তুষার ও উপজেলা ছাত্রলীগনেতাদের সাথে কথা কাটিকাটি ও মারপিট হয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ২/৩ জন সামান্য আহত হয়। পরে তুষার বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশকে অবগতি করে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি হন।
এ খবর পেয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী বেলা দেড়টার দিকে সেখানে উপস্থিত হন। হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা তুষারের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা কথা বলতেই হঠাৎ লোহাকুড়া গ্রামের বাবু তার কাছে থাকা দা দিয়ে তুষারকে কোপ দেয়। এতে সে হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে তার ডান হাত কেটে যায়। বাবু ছাত্রলীগের কেউ নয়। সে বিএনপি ও জামায়াত পরিবারের সদস্য। সে বিষয়টি ঘোলাটে করতে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে তার ধারণা।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সাগর হোসেন জানান, একটি গ্রুপ ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তুষারের মারপিটের সময় তিনি হাসপাতালের বাহিরে ছিলেন। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেন।
এদিকে থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন, থানায় এ বিষয় নিয়ে লিখিতভাবে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। তবে এলাকায় আইন শৃঙ্খলা উন্নয়নের জন্য পুলিশের একটি টিম সর্বক্ষনিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
কেআই/