ঢাকা, বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

ভারতের শেষ দফা নির্বাচন

নির্বাচন কমিশনে মমতার ৪ অভিযোগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৯ এএম, ১৯ মে ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ১০:১১ এএম, ১৯ মে ২০১৯ রবিবার

সুনীল অরোরা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সুনীল অরোরা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ভারতের শেষ দফা ভোটের আগের দিন শনিবার (১৮মে) মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরাকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে তিনি কেন্দ্রের শাসকদলের প্রভাবমুক্ত হয়ে শান্তিপূর্ণ এবং নিরপেক্ষ ভোটের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, রোববার ভোটের আগে এই চিঠি দিয়ে কমিশনের উপর চাপ জারি রাখলেন মমতা।

চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী কড়া ভাষায় চারটি অভিযোগ জানিয়েছেন। এক, কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপি’র প্রভাবে ভোট প্রক্রিয়ার মধ্যে কমিশন একাধিক অবৈধ, অসাংবিধানিক এবং একপেশে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে শুধু রাজ্য প্রশাসন এবং তার আধিকারিকদেরই নয়, সাধারণ মানুষেরও হেনস্থা হয়েছে।

দুই, কমিশন নিযুক্ত কলকাতার নতুন পুলিশ কমিশনার গত ১৪ মে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে শহরে বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর রোড-শো করার অনুমতি দিয়েছিলেন।

পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে আঘাত করতে এবং রাজ্য সরকার ও রাজ্যবাসীকে অপমান করতে ওই রোড-শো থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে গোলামাল বাধানোর ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।

তিন, কমিশন বেআইনি ভাবে দু’জন অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিককে বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে। তারা কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেন্দ্রের শাসক দলের কথা মেনে বার বার পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন।

চার, এই বিষয়গুলি কমিশনের নজরে আনা সত্ত্বেও সুবিচার পাওয়া যায়নি। এই প্রেক্ষিতেই তিনি শেষ দফায় নিরপেক্ষ এবং প্রভাবমুক্ত ভোটের দাবি করছেন বলে চিঠিতে জানিয়েছেন মমতা।

বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অবশ্য পাল্টা অভিযোগ, ‘‘চোরের মায়ের বড় গলা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং আরও নানা জায়গায় আমাদের কর্মীদের মারা হচ্ছে, বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, আবার উল্টে দিদিই কমিশনে এ সব আজগুবি অভিযোগ করছেন! হারের আগে অজুহাত তৈরি করছেন।’’

বিজেপি নেতা মুকুল রায়ও এ দিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি লিখে অভিযোগ করেছেন, ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের ফলতা, সাতগাছিয়া, বিষ্ণুপুর অঞ্চলে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল।

বিজেপি কর্মীদের বাড়িছাড়া করা হচ্ছে। যদিও তার এই অভিযোগ সম্পর্কে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওকে আমি দীর্ঘ দিন ধরে চিনি। উনি মিথ্যা বলেই থাকেন। এখনও বলছেন।’’

ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সুপার শিবাজী পাণ্ডের বক্তব্য, ‘‘আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে কমিশনের নির্দেশ মতোই কাজ করছি।’’

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার

এমএইচ/