রোজা ভঙ্গে যা ওয়াজিব
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:৫৮ পিএম, ১৯ মে ২০১৯ রবিবার
মুসলমান শরীয়াতের শর্তানুযায়ী রোজা রাখতে বাধ্য। কিন্তু কোন মুসলিম ব্যক্তি ওজরে রোজা ভঙ্গ করলো, কেউ ইচ্ছাকৃত রোজা ছেড়ে দিল এবং কেউ রোজা রাখতে অক্ষম, পরবর্তীতে তাদের কি করণীয় আছে?
ইসলামী শরীয়া মতে তাদের ওপর যা ওয়াজিব হবে :
কাযা :
যে ব্যক্তি কোন ওজরে পবিত্র রমজান শরীফের রোজা ভাঙলো তৎপরিবর্তে তাকে উক্ত রোজার কাযা করতে হবে। ঋতুবতী, গর্ভবতী, সন্তানবতী স্ত্রীলোক, মুসাফির, পীড়িত ব্যক্তি এবং মুরতাদ তথা ইসলাম ত্যাগী ব্যক্তি পুনরায় ইসলাম গ্রহণ করলে এদের সবার প্রতিই রোযার কাযা ওয়াজিব, কিন্তু পাগল ও নাবালেগের ওপর রোজার কাযা ওয়াজিব নয়। কাযা হলো একটি রোজার পরিবর্তে একটি রোজা। কাযা রোজা যে কোন সময় সুবিধামতো আদায় করা যায়।
কাফফারা :
কোন রোজাদার ব্যক্তি ইচ্ছাপূর্বক স্ত্রী সহবাস করলে অথবা বিনা কারণে স্বেচ্ছায় রোজা ভঙ্গ করলে তার প্রতি রোজার কাযা ও কাফফারা উভয়টা ওয়াজিব হবে। রোজার কাযা হলো একটি রোজার পরিবর্তে একটি, আর কাফফারা হলো ৬০টি। মোট ৬১টি রোজা হবে একটি ফরজ রোজার কাফফারা।
ফিদইয়া :
যে ব্যক্তি রোজা রাখতে সম্পূর্ণরূপে অক্ষম। তার প্রতি ফিদইয়া দেওয়া ওয়াজিব হয়। যে পীড়িত ব্যক্তি প্রাণনাশের ভয়ে রোজা ত্যাগ করে তার প্রতি ফিদইয়া ওয়াজিব নহে। অতি বৃদ্ধ ব্যক্তি বার্ধক্যজনিত দুর্বলতাবশত রোজা রাখতে অক্ষম হলে সে ব্যক্তি রোজার কাযা আদায় না করে কেবল ফিদইয়া দিলেই চলবে। ৬০ জন মিসকিনকে খাওয়ানোর কথা বলা হয়েছে।
তথ্যসূত্র : মাওলানা হারুনুর রশিদের রমজানে করণীয় ও বর্জনীয় গ্রন্থ।
এএইচ/