ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

জুনিয়রদের প্রতি মাশরাফিদের আস্থা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:০০ পিএম, ১৯ মে ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ০৩:০৩ পিএম, ১৯ মে ২০১৯ রবিবার

সদ্য শেষ হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজে অপরাজিত থেকেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ত্রিদেশিয় সিরিজ জয় করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে কাটলো আন্তর্জাতিক ট্রফি জয়ের খরা।

এ টুর্নামেন্টের প্রতিটি ম্যাচে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং তিন জায়গাতেই দখল ছিল বাংলাদেশের।

রান না পাওয়া সৌম্য সরকার ফিরেছে রানের ধারায়, মোসাদ্দেক দেখিয়েছেন তার কারিশমা, নতুন মুখ আবু জায়েদ রাহি প্রথম ম্যাচে ভাল না করলেও পরের ম্যাচে নিয়েছেন ৫ উইকেট। মুস্তাফিজও ফিরেছেন তার স্বকীয়তায়। সবমিলে অভিজ্ঞদের সাথে বেশ তাল মিলিয়ে ভালই করেছেন নতুনরা।

টাইগারদের ত্রিদেশিয় সিরিজের ফাইনালে  জয়, ক্রিকেট বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। যা আসন্ন ৩০ মে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।

তনদের পারফরম্যান্স নিয়ে জাতীয় দলের প্রথম অধিনায়ক রকিবুল হাসান বলেন, সিনিয়রদের নির্ভরতা কমিয়ে নতুনরা ভাল করছে, এটা আমাদের জন্য সুখবর। নতুনরা ভাল করলেই আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব। এ ধারা অব্যহত থাকলে আসন্ন বিশ্বকাপেও আমরা ভাল করব।

বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাস যা বলে তাতে বরাবরই প্রথম সারির পঞ্চপাণ্ডদের উপর নির্ভর করেই লড়তে হয়েছে।

তারা ব্যর্থ হলে পরাজয় যেন আর ঠেকানো যেত না। চাই সেটা ব্যাটিং কিংবা বোলিং হোক। অভিজ্ঞদের উপর চাপটা ছিল বরাবরের মত একটু বেশি। ফলে, অতীতে নতুনরা তেমন ভাল না করায় জয়ের মুখ কমই দেখেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ দলের এমন ভাল পারফরম্যান্সের পরও বিশ্বকাপের আগে বোলিং বিভাগকে আরো শক্তিশালী করার কথা ভাবছেন কোচ। এছাড়া, যেহেতু বিশ্বকাপের আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ আছে, সেক্ষেত্রে নিজেদের প্রস্তুত করতে বেশ সময় পাচ্ছেন মাশরাফিরা।

এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে এশিয়া কাপ থেকে শুরু করে শ্রীলংঙ্কায় গেল নিদাহাস ট্রফিতেও বাংলাদেশ তীরে এসে তরী ডুবিয়েছে। এরকম অনেক ঘটনাই আছে। নতুনদের দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ ছিল সবসময়। ফলে, দীর্ঘদিন আমরা ট্রফি খরায় ভুগেছি। ছোট ছোট ভুলের জন্য চোখের জলে ভেসে গেছে ট্রফির স্বপ্নগুলো।

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর আমরা পঞ্চপাণ্ডদের উপর নির্ভরতা কমাতে পেরেছি। নিতে শিখেছে দায়িত্ব। এ সিরিজের প্রথম থেকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ম্যাচ পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচে নবীনরা দায়িত্ব নিয়েই খেলেছে।

এক মাশরাফি, তামিম, সাকিব ও মুশফিকের উপর নির্ভর না করে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে লড়েছেন নবীনরা। নতুন পঞ্চপাণ্ডতে তাই আস্থা রাখছেন টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে অধিনায়ক মাশরাফিও।

এর ফলে এবার আমাদের তীরে এসে তরী ডুবতে হয়নি। নতুন মুখদের উপর নির্ভর করেই অপারাজিত থেকেই দাপুটে জয়ের মধ্যদিয়ে দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটেছে।

আর এ জয় সামনে বিশ্বকাপের জন্য সবচেয়ে তৃপ্তিদায়ক হবে বলে মনে করছেন বিসিবি প্রধান থেকে শুরু ক্রিকেটপ্রেমীরা।