ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

কর অবকাশ নীতির পুনর্বিবেচনা শীর্ষক বৈঠক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫৯ পিএম, ১৯ মে ২০১৯ রবিবার

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লীডিং ডেভেলপমেন্ট’র (বিল্ড) যৌথ উদ্যোগে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘বিনিয়োগ ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের কর অবকাশ নীতির পুনর্বিবেচনা’ শীর্ষক এ বৈঠক বিডা’র সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। রোববার বিডা’র জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ মোঃ শহীদুল ইসলামের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া’র প্রতিনিধিত্ব করেন বোর্ডের সদস্য (আয়কর নীতি) কানন কুমার রায়।
বৈঠকে বক্তব্য রাখেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজ’র সাবেক সভাপতি মো. হুমায়ুন রশিদ, বিল্ড’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বেগম বাংলাদেশে বিদ্যমান করাবকাশ নিয়ে বিস্তর বক্তব্য তুলে ধরেন। পরে তিনি ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ভারত, পাকিস্তানের মতো বিশ্বের কয়েকটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের করাবকাশের চিত্র তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের কর ব্যবস্থাপনায় আরও অধিক করাবকাশের দাবী জানান।

বৈঠকে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারাসমূহকে যুগোপযোগী করে তোলার আহ্বান জানানো হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য কানন কুমার রায় বলেন, ‘শিল্পের প্রসারের জন্য করাবকাশ যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি রাষ্ট্রের প্রশাসনিক ও উন্নয়ন ব্যয় নির্বাহের জন্য রাজস্ব আদায়ও গুরুত্বপূর্ণ। করাবকাশ সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারকে বিভিন্ন অর্থনৈতিক বিষয় সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়।

১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশ সময়োপযোগী করে তোলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন কানন কুমার। বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘শিল্প ও বাণিজ্য বিকাশে ট্যাক্স হলিডে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রণোদনা, যা সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন আঙ্গিকে দিয়ে আসছে। বিশেষ করে বেজা, বেপজা, হাইটেক পার্ক অথরিটির অধীনে স্থাপিত শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে বিভিন্ন মেয়াদে ও পরিমাণে করাবকাশ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। সরকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিকাশের ক্ষেত্রে সর্বদা সজাগ। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং প্রতিষ্ঠানসমূহ সকল দিক বিবেচনা করেই সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

এমএস/