কৃষককে বাঁচাতে চাল আমদানি কমাতে হবে: অর্থমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:২২ পিএম, ১৯ মে ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ১০:২৪ পিএম, ১৯ মে ২০১৯ রবিবার
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, চলতি বছর ধান উৎপাদন বেশি হলেও আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম কম। ফলে কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কৃষককে বাঁচাতে প্রয়োজনে চাল আমদানী সীমিত করা হবে। রোববার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, চাল আমদানি করার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা যেতে পারে। তবে চাল আমদানী সরকার পুরোপুরে বন্ধ করি দিতে পারে না। পাশাপাশি চাল রফাতানির দিকেও আমাদের জোর দিতে হবে। প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে হলেও চাল রফতানির পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, একটা সময় ছিল যখন সারা বিশ্বে খাদ্যের জন্য হাহাকার ছিল। কিন্তু বর্তমানে সারা বিশ্বেই খাদ্যের উৎপাদন অনেকগুন বেড়ে গিয়েছে। আল্লাহর রহমতে এ বছর আমরা অনেক বেশি খাদ্যশস্য উৎপাদন করতে পেরেছি। আমাদের যেমন বেশি উৎপাদন হয়েছে, আশপাশের দেশেও খাদ্য শস্যের উৎপাদন অনেক বেড়েছে। বাইরে যদি চাহিদা থাকত, তাহলে আমরা রফতানি করতে পারতাম। বাইরেও সেইভাবে চাহিদা নেই। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে যা যা করা দরকার, সেগুলোর প্রতিফলন আপনারা দেখতে পাবেন। আমার বিশ্বাস, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টা অবশ্যই সুবিবেচনা করবেন। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত সুদূর প্রসারী চিন্তা ভাবনা করেন এবং এই সকল বিষয়ে তিনি অত্যন্ত বিচক্ষণ। ৯৬ সালে তিনি কৃষিখাতে ১০০ কোটি টাকা ভর্তুকি নেওয়ার যে সাহস করেছিলেন, তখন বিষয়টি সত্যই অকল্পনীয় ছিল, কিন্তু তার সুফল এখন আমরা ভোগ করছি। শুধু সবজি নয়, যে বছর যে পণ্য বেশি উৎপাদন হবে, সেগুলোও রফতানির ব্যবস্থা করা হলে চাহিদা ও জোগানের মধ্যে ব্যবধানটা হবে না এবং কৃষক ন্যায্য দাম পাবেন।’
কৃষি যন্ত্রপাতির বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার নাম মাত্রে মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতিগুলো দিলেও কৃষকরা নিতেও চান না, জোর করে দেয়া লাগে। যদি কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় তাহলে উৎপাদন বাড়বে এবং ব্যয়ও কমবে। উৎপাদন কম বেশী যাই হোক না কেন আমারা যন্ত্রপাতি ব্যবহার নিশ্চিতকরণে জোর দিব। কৃষি যন্ত্রপাতি আমরা নিয়ে এসে রেখে দেব। যখন লাগবে তখন ব্যবহার করব। কুষক যদি উৎপাদনের খরচ না পায়, তাহলে একদিকে তারা নিরুৎসাহিত হবে।
এ সময় আগামী ২০১৯-২০ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণার আগে কৃষি ও এর উপখাতগুলোতে সরকারের বরাদ্দ ও বিশেষ গুরুত্ব প্রস্তাব হিসেবে অর্থমন্ত্রীর কাছে সুপারিশমালা প্রদান করেন কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ।
এমএস/