ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের আন্দোলন স্থগিত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:০৯ এএম, ২০ মে ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ১০:২১ এএম, ২০ মে ২০১৯ সোমবার
আন্দোলন থেকে সরে আসলেন ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিত বা প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া বিক্ষুব্ধরা। জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করে পদবঞ্চিতরা।
রোববার রাতে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে দলের চারজন জ্যেষ্ঠ নেতার সঙ্গে বৈঠক পদবঞ্চিতরা। পরে রাত দেড়টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন তারা।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক, বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা আবু কাওসার, ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
এছাড়া পদবঞ্চিতদের পক্ষে প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-ছাত্রলীগের রোকেয়া হলের সভাপতি বিএম লিপি আক্তার, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের সভাপতি ফরিদা পারভীন, সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী শায়লা, শামসুন নাহার হলের সভাপতি নিপু ইসলাম তন্বী, জসীম উদ্দীন হলের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খান, ছাত্রলীগের নতুন কমিটির উপ সাংস্কৃতিক সম্পাদক তিলোত্তমা সিকদার, বিগত কমিটির প্রচার সম্পাদক সাঈফ বাবু, সমাজসেবা সম্পাদক রানা হামিদ।
এই প্রতিনিধি দলের একাধিক সদস্য রাতে বলেন, তাদের দাবি মানার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতারা শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ করিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বৈঠকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, ছাত্রলীগের কমিটিতে `বিতর্কিতদের` পদগুলো তদন্তের মাধ্যমে শূন্য ঘোষণা করে যোগ্যতার ভিত্তিতে সেসব পদে পূরণ করা হবে। এছাড়া মধুর ক্যান্টিনে মারামারির ঘটনা এবং টিএসসিতে শনিবার রাতের হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে তাদের।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়েছিল এক বছর আগে। গত সোমবার ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পরই অসন্তোষ শুরু হয়।