জয় অধরা বার্সার, ফের হার রিয়ালের
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:১৮ পিএম, ২০ মে ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ১২:২৪ পিএম, ২০ মে ২০১৯ সোমবার
মেসির জোড়া গোলেও শেষটা ভালো হলো না বার্সেলোনার। তিন ম্যাচ বাকি থাকতে লা লিগা শিরোপা নিশ্চিত করা বার্সা এইবারের মাঠ থেকে ড্র করে ফিরেছে। তবে মৌসুমের শেষ ম্যাচে হোঁচট খেলেও শিরোপা জয়ে সেটা কোনও আঁচড় কাটতে পারেনি। অন্যদিকে, বাজে হারে মৌসুম শেষ করল রিয়াল মাদ্রিদ।
রোববার এইবারের মাঠ মিউনিসিপাল ডি ইপুরুয়ায় আতিথ্য নেয় এরনেস্তো ভালভেরদের দল। ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়। জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে এইবারকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল বার্সা।
প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে নেমে ম্যাচের ২০তম মিনিটে নিজেদের ভুলে গোল খেয়ে বসে শিরোপাধারীরা। বাঁ দিক থেকে উড়ে আসা বল ঠেকাতে গিয়ে ডি-বক্সে পড়ে যান জেরার্দ পিকে। সেই সুযোগে এইবারের ফরোয়ার্ড সের্হি এনরিচ ছোট করে বাড়ান বাঁ দিকে। কোনাকুনি শট নেন মার্ক কুকুরেইয়া। বল গোলরক্ষক ইয়াসপের সিলেসেনের আয়ত্ত্বের মধ্যেই ছিল; কিন্তু তার হাতের নিচের দিকে লেগে বল জালে জড়ায়। ম্যাচের ৪৫ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় গোলটি করেন পাবলো ডি ব্লাসিস।
আর বার্সার দলপতি মেসি ম্যাচের ৩১তম ও ৩২তম মিনিটে জোড়া গোল করেন। চলতি লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা আর্জেন্টাইন তারকার এটি ৩৬তম গোল। নিশ্চিত হল লা লিগায় সর্বোচ্চ গোলদাতার পিচিচি ট্রফিও। এই নিয়ে ছ’বার তিনি এই ট্রফি পেলেন। সেইসঙ্গে ধরে ফেললেন আতলেটিকো বিলবাওয়ের তেলমো জারারকে। ১৯৪০ থেকে ১৯৫৫ সালের মধ্যে তিনিও ছ’বার পিচিচি ট্রফি পেয়েছিলেন। রোববার মেসির দ্বিতীয় গোলটি যথারীতি দুরন্ত। আর্তুর ভিদালের থ্রু ধরে যেভাবে অনেকটা দৌড়ে গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে লব করে তিনি গোল করে যান তা দেখে মুগ্ধ ফুটবল মহল।
চলতি আসরে বার্সেলোনার এটি নবম ড্র; হেরেছে তিনটি ম্যাচে। আর ৮৭ পয়েন্ট নিয়ে এবারের লিগ শেষ করল টানা দ্বিতীয়বার ও মোট ২৬তম শিরোপা জেতা বার্সেলোনা।
এ দিকে, বার্সার ড্র করার দিনে নিজেদের মাঠ সান্তিয়াগো বের্নাবাউয়ে রিয়াল মাদ্রিদ ০-২ গোলে হেরে গেল রিয়াল বেতিসের কাছে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পুরনো ক্লাব এবারের লিগে এই নিয়ে ১২টি ম্যাচ হারল।
রোববার রিয়ালের দুর্বল আক্রমণগুলো ঠেকাতে বেগ পেতে হয়নি অতিথিদের। ম্যাচের ২৫তম মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের পাস থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন মার্সেলো। ফলে গোল শূন্যভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।
বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৬১তম মিনিটে গোল হজম করে বসে স্বাগতিকরা। সতীর্থ আন্দ্রেস গুয়ার্দাদোর পাস থেকে ক্ষিপ্র গতির শটে রিয়ালের জালে বল জড়িয়ে দেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড লোরেন মোরন। ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে বেতিসের ব্যবধান দ্বিগুণ করে দেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড হেসে। ম্যাচের বাকি সময়ে স্কোরলাইনে আর পরিবর্তন হয়নি। ফলে মৌসুমটা খালি হাতেই শেষ করতে হলো রেকর্ড গত তিন আসরের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ীদের।
হতাশ জিনেদিন জিদান বললেন, এমন নয় যে আমরা জিততে চাইনি বলে হেরেছি। উল্টোটাই সত্যি। আমরা জিততে পারিনি। সঙ্গে যোগ করেছেন, অনেক হয়েছে। এবার আমরা খুব খারাপ খেলেছি স্বীকার করে নেওয়াই ভাল। আমার আগের কোচের সময়ও রিয়াল খারাপ খেলেছে। আমার সময়ও। এখন আমাদের শুধুই পরের মৌসুমের কথা ভাবতে হবে। অন্য কিছু নয়। এ দিন ম্যাচের পরে প্রবল বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয় রিয়ালকে। এবং এ দিনও জিদান প্রথম এগারোয় রাখেননি গ্যারেথ বেলকে।
যাইহোক, ৩৮ ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে থেকে ২০১৮-১৯ মৌসুম শেষ করেছে রিয়াল। মৌসুমে তারা জয় পেয়েছে ২১ ম্যাচে। পরাজয় ১২ ম্যাচ, ফল হয়নি ৫ ম্যাচ। রিয়ালের চেয়ে ৮ পয়েন্ট বেশি নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করেছে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। চারে থাকা ভ্যালেন্সিয়ার পয়েন্ট ৬১। আগেই শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলা বার্সেলোনার পয়েন্ট ৮৭।
সূত্র: লাইভস্কোর ডটকম
একে//