ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

প্রাচীন স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন নাটোরের দিঘাপতিয়ার রাজবাড়ি

প্রকাশিত : ১১:২৪ এএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৬ শনিবার | আপডেট: ১১:২৪ এএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৬ শনিবার

প্রাচীন স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন নাটোরের দিঘাপতিয়ার রাজবাড়ি। প্রায় দুশ’ বছর আগে নির্মিত এ রাজবাড়িটি ‘উত্তরা গণভবন’ নামে পরিচিত। এটি এখন উত্তরবঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আঞ্চলিক কার্যালয় ও বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে পর্যটকসহ সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে ইউরোপিয় স্থাপত্যকলার ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাটি। সুউচ্চ প্রাচীরে ঘেরা রাজবাড়ির মূল ফটক, শোভা পাচ্ছে বিশাল এই ঘড়িটি। রাজবাড়ি তৈরীর সময় ঘড়িটি ইংল্যান্ড থেকে আনিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠাতা দয়ারাম। অবাক করা বিষয়, ঘড়িটি আজও ঠিক একইভাবে দেখিয়ে যাচ্ছে সময়। নাটোরের রাজা রামজীবন ও রানী ভবানীর দেওয়ান ছিলেন দয়ারাম। রাজার উত্থানে দয়ারামের ভূমিকায় তাকে উপহার হিসেবে দিঘাপতিয়ায় কিছু জমি দেন তিনি। ১৭৩৪ সালে সেখানে প্রাসাদ নির্মাণ করেন দয়ারাম। ১৮৯৭ সালের ভুমিকম্পে রাজবাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রায় ৪১ একর জমির উপর প্রাসাদটি পুনঃনির্মাণ করেন তাঁর বংশধর প্রমদানাথ। ইতালিয় স্থপতির নকশায় নির্মিত প্রাসাদটিতে স্থান পায় ইতালি থেকে আনা ঘড়ি, মার্বেল পাথরের ভাস্কর্য ও বিরল প্রজাতির গাছ। তাই এ অঞ্চলের অন্যান্য রাজবাড়ির তুলনায় প্রাসাদটি বেশ খানিকটা ভিন্ন। ১৯৪৭ সালে রাজপরিবার ভারতে চলে গেলে পাকিস্তান সরকার বাড়িটি অধিগ্রহণ করে গভর্নর হাউসে রূপান্তর করে। স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এটিকে ‘উত্তরা গণভবন’ হিসেবে ঘোষণা করেন। তখন থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীরা তাদের পাঁচ বছরের মেয়াদে অন্তত একবার মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন। রাজবাড়িটি উত্তরা গণভবন হিসেবে ঘোষণার পর নিরাপত্তাজনিত কারণে মূল প্যালেস দেখার সুযোগ না থাকলেও ১৯৮৯ সাল থেকে ভবনের ‘কুমার প্যালেসটি’ মোটেল হিসাবে ব্যবহারের জন্য পর্যটন কর্পোরেশনকে দেয়া হয়।