হুয়াওয়ের স্মার্টফোন ব্যবহারে গুগলের নিষেধাজ্ঞা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৩৮ পিএম, ২০ মে ২০১৯ সোমবার
চীনা স্মার্টফোন ব্রান্ড ও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইলফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের কিছু আপডেট বন্ধ করে দিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম সংস্থা গুগল।
এর ফলে হুয়াওয়ে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা নতুন কয়েকটি মডেল থেকে কিছু গুগল অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন যেসকল স্মার্টফোন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকে ‘এনটিটি লিস্টে’ অন্তুর্ভুক্ত করেছে হুয়াওয়ে তার মধ্যে অন্যতম। ওই তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের মার্কিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসা করতে হলে বিশেষ লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়। ওই তালিকায় হুয়াওয়েকে অন্তর্ভূক্ত করার পর গুগলের এই সিদ্ধান্ত এলো।
গুগল তাদের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা "নির্দেশনা মেনে চলছে এবং এর ফলাফল যাচাই করছে।" তবে, হুয়াওয়ে কর্তৃপক্ষ গুগলের এমন সিদ্ধান্তে নিজেরাই নিজেদের যন্ত্রাংস নির্মাণের ইঙ্গিত দিয়েছে।
হুয়াওয়ে ব্যবহারকারীদের কী হবে?
ইতোমধ্যে যারা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে আসছেন তারা অ্যাপ আপডেট করতে পারবেন এবং গুগল প্লে সার্ভিসেও আপডেটেড থাকতে পারবেন।
কিন্তু এ বছরের শেষে যখন গুগল অ্যান্ড্রয়েডের পরবর্তী ভার্সন বাজারে ছাড়বে, তখন সেটি হুয়াওয়ের স্মার্ট ডিভাইসে ব্যবহার করতে পারবে কি-না সে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। অর্থাৎ, ভবিষ্যতের হুয়াওয়ের স্মার্ট ডিভাইসে ইউটিউব বা গুগল ম্যাপস এর মত অ্যাপ নাও থাকতে পারে।
তবে ওপেন সোর্স লাইসেন্সের মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েডের যেই ভার্সনটি ব্যবহার করা যায় সেটি হুয়াওয়ের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে।
হুয়াওয়ের করণীয় কি হবে?
গত বুধবার ট্রাম্প প্রশাসন হুয়াওয়েকে `এনটিটি লিস্ট` এ অন্তর্ভূক্ত করলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানায় স্মার্টফোন প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী রেন ঝেংফেই জাপানি গণমাধ্যমকে বলেন, "আমরা এরকম কিছুর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এখন থেকে আমরা নিজেদের যন্ত্রাংস নিজেরাই তৈরি করার পরিকল্পনার কথা ভাবছি।
পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে বেশ কিছুদিন ধরেই সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে হুয়াওয়ে।
হুয়াওয়ের প্রযুক্তি ব্যবহার করে চীন তাদের নাগরিকদের ওপর নজরদারি করছে- এমন সন্দেহ পোষণ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে হুয়াওয়ে কর্তৃপক্ষ।
হুয়াওয়ে বলেছে, তাদের কাজের ধারা কোন ধরণের নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করে না এবং চীনের সরকারের সঙ্গে তাদের কাজের কোন সম্পর্ক নেই।
তা সত্ত্বেও কিছু দেশ হুয়াওয়ের পণ্যে তাদের মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ৫জি (ফাইভ জি) মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি।
আই// এসএইচ/