ফের পতনে পুঁজিবাজার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:১৬ পিএম, ২০ মে ২০১৯ সোমবার
চার কার্যদিবস পতনের পর গত বৃহস্পতিবার উত্থানে ফিরে পুঁজিবাজার। এর পরের কার্যদিবস রোববার পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এক্সপোজার সংশোধনীর প্রজ্ঞাপন জারির সংবাদে বড় উত্থান হয়। কিন্তু আজ সোমবার আবারও পতনের মাধ্যমে উভয় শেয়ারবাজার লেনদেন শেষ করেছে। কমেছে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ শেয়ারের দর। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সোমবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে অর্ধশত পয়েন্টের বেশি। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্সও কমেছে একশ পয়েন্টের উপরে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ব্যাংকের এক্সপোজারে সংশোধনী এনে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারসহ বিভিন্ন অংশীজনের মতামত এবং পুঁজিবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তালিকাভুক্ত নয় এরূপ সিকিউরিটিজে ব্যাংকের বিনিয়োগ পুঁজিবাজারে ব্যাংকের মোট বিনিয়োগ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই প্রজ্ঞাপনের ফলে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের (একক ও সমন্বিত) বিনিয়োগ হিসাবায়নের ক্ষেত্রে নন-লিস্টেড কোম্পানির অর্থাৎ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন প্রতিষ্ঠানের ইক্যুইটি শেয়ার, নন-কনভার্টেবল প্রিফারেন্স শেয়ার, নন-কনভার্টেবল বন্ড, ডিবেঞ্চার, ওপেন-ইন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগকে ব্যাংকের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ (ক্যাপিট্যাল মার্কেট এক্সপোজার) হিসেবে গণ্য করা হবে না।
পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন জারির পর রোববার ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক একশ পয়েন্টেরও বেশি বাড়ে। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পায় লেনদেনের পরিমাণ। কিন্তু সোমবার সূচকের বড় পতনের পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও কমেছে।
এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৫৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৭৬ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৯৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
মূল্যসূচকে এই উত্থানের দিনে ডিএসইতে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার পাঁচগুণের বেশি। দিনভর বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ৫০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ২৬২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির দাম।
মূল্যসূচক ও সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমার পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৮৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৪৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৫৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
বাজারটিতে টাকার পরিমাণে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার। এ দিন কোম্পানিটির মোট ৪০ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৯ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে এসকে ট্রিমস এবং ১১ কোটি ৩০ লাখ টাকা লেনদেনে তৃতীয় স্থানে ওঠে এসেছে ফরচুন সুজ।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- ব্যাংক এশিয়া, আইএফআইসি ব্যাংক, ডরিন পাওয়ার, প্রিমিয়ার ব্যাংক, রূপালী লাইফ, মুন্নু সিরামিক এবং এস্কয়ার নিট কম্পোজিট।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স ১২২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৭৪৮ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার। লেনদেন অংশ নেয়া ২৩৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৬টির, কমেছে ১৬৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির।
আরকে//