ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

কৃষকের ধান কিনতে ডিসিকে মাশরাফির ফোন

প্রকাশিত : ০৮:৩৫ পিএম, ২০ মে ২০১৯ সোমবার

নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষ করে দেশে ফিরেই জেলা প্রশাসককে (ডিসি) কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

রোববার রাত ১০টার দিকে সংসদ সদস্য মাশরাফি জেলা প্রশাসক আনজুমান আরাকে ফোন করে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয় করতে বলেন এবং সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেন।

জানা গেছে, ত্রিদেশীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জয়ের পর গত শনিবার রাতে দেশে ফেরেন  অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। দেশে ফিরে তিনি জানতে পারেন কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাদের উৎপাদন খরচও উঠছে না।

এই বিষয়টি জানার পর মাশরাফি ফোনে বলেন, কোনো সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ধান ক্রয় করা হচ্ছে এমন প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাশরাফির ফোনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বলেন, এমপি মহোদয় কুশলাদি বিনিময়ের এক পর্যায়ে কৃষকদের কাছ থেকে ধান নেওয়ার জন্য বলেন। তালিকার কৃষকের বাইরে যেন কেউ না ঢুকে তিনি জোর দিয়ে বলেন। এমপি মহোদয়ের বক্তব্যে আমরা খুশি হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, কারণ তালিকা নিয়ে চাপ থাকে এক ধরনের। আমরা এখন ভালোভাবে কাজ করতে পারবো। কাল থেকে আমরা কাজে নেমে পড়ব। কৃষেকর বাইরে কেউ সুযোগ নিতে পারবে না।

সরকারিভাবে ধান কেনার ক্ষেত্রে কৃষকেরা যাতে বঞ্চিত ও হয়রানির শিকার না হন, সে ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

এতে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম কমবে বলে মনে করছেন কৃষকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। কৃষকেরা সরকারি মূল্যে এক মণ ধান এক হাজার ৪০ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। তবে বর্তমানে নড়াইলের হাটবাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি করতে হচ্ছে সাড়ে ৫’শ থেকে ৭’শ টাকা দরে। এতে কৃষকদের উৎপাদন খরচ উঠছে না।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মওসুমে নড়াইলের তিন উপজেলায় মোট ১ হাজার ৪শ ’৫৯ মেট্রিক টন ধান এবং ৩ হাজার ৯শ’ ৮ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে নড়াইল সদর উপজেলায় ৬শ’৬২ মেট্রিক টন ধান এবং ১ হাজার ৭শ’ ৪ মেট্রিক টন চাল, লোহাগড়া উপজেলায় ২শ’৬৪ মেট্রিক টন ধান এবং ৯শ’৪৪ মেট্রিক টন চাল এবং কালিয়া উপজেলায় ৫শ’৩৩ মেট্রিক টন ধান এবং ১ হাজার ২শ’৬০ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী গত ২৫ এপ্রিল থেকে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। খাদ্য বিভাগের তালিকাভূক্ত ৫২ জন মিল মালিকের কাছ থেকে গত ৯ মে থেকে প্রতিকেজি ৩৬ টাকা দরে চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছে। কৃষকদের তালিকা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধান ক্রয় শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মনোতোষ কুমার মজুমদার।

কেআই/