নামাজের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা
ডা. আহমদ মরতুজা চৌধুরী :
প্রকাশিত : ১২:৪৩ পিএম, ২১ মে ২০১৯ মঙ্গলবার
শুধু অন্তর বা অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মাধ্যমেই নয় বরং আনুষ্ঠানিক ইবাদত যেমন নামাজ-রোজা ও যাকাতের মাধ্যমে স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে। এমন অনেক খোদাপ্রেমিক আছেন যারা মনে করেন স্রষ্টার স্মরণ যেহেতু সার্বক্ষণিকভাবে অন্তরে আছে তাই আনুষ্ঠানিক নামাজ পড়ার প্রয়োজন নেই। এই ধারণাটা সম্পূর্ণ ভুল। নামাজই কৃতজ্ঞতা জানানোর শ্রেষ্ঠ মাধ্যম।
হযরত মোহাম্মদ (সা.)কে বাদ দিয়ে স্রষ্টাকে পাওয়া যাবে না। মহানবীর চেয়ে বেশি স্রষ্টার স্মরণে মগ্ন ও স্রষ্টাপ্রেমিক কেউ পৃথিবীতে আসবেন না। মহানবী (সা.) যেহেতু নামাজ বাদ দিয়ে স্রষ্টার প্রিয় হওয়ার চেষ্টা করেননি তাই মানবজাতির জন্য নামাজকে বাদ দিয়ে স্রষ্টার প্রিয় হওয়ার কোন সুযোগ নেই। মুসলমানরা নামাজের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবেন। নামাজ হলো বিশ্বাসীর মেরাজ। নামাজের জন্য আযানের মাধ্যমে আহবান জানিয়ে স্রষ্টা অপেক্ষায় থাকেন কখন তার বান্দা তার কাছে যাবে ও সেজদায় নত হবে। কেননা নামাজে মানুষ যখন সেজদায় যায়, তখন সে স্রষ্টার সবচেয়ে কাছাকাছি চলে আসে। নামাজের মধ্যে সেজদার মাধ্যমে মহান স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতার সর্বোত্তম প্রকাশ ঘটে।
‘সুতরাং তোমরা সন্ধ্যায় ও প্রভাতে আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো এবং অপরাহ্নে ও মধ্যাহ্নে। আসমান জমিনের সমস্ত প্রশংসা তারই।’ (সূরা আর রুম ৩০/১৮)
‘আর তারা যা বলে তাতেই আপনি ধৈর্যধারণ করুন এবং আপনার পালনকর্তার প্রশংসা, পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বে। তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন রাত্রির একাংশে এবং নামাজের পরে।’ (সূরা ক্বাফ ৫০/৩৯-৪১)
আল্লাহ তার রাসূলকে (সা.) নামাজের মাধ্যমে তার মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাসূল (সা.) সেই নির্দেশ অনুযায়ী নামাজ কায়েম করেছেন ও নামাজ কীভাবে আদায় করতে হয় দেখিয়ে দিয়েছেন। রাসূলের (সা.) পদাঙ্ক অনুসরণ করে নামাজের মাধ্যমে একাগ্রচিত্তে স্রষ্টার প্রশংসা করুন ও তার কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ গ্রহণ করুন। নামাজে হৃদয়কে বিগলিত করে লুটিয়ে পড়ুন স্রষ্টার সমীপে। নামাজে যত বিনয়ী হওয়া যাবে তত নিজের অসহায়ত্বকে ফুটিয়ে তোলা যাবে তত স্রষ্টার করুণা বর্ষিত হবে তার বান্দার উপর।
(শোকরিয়া, প্রশান্তি ও প্রাচুর্যের রাজপথ)
এএইচ/