আইসিইউ থেকে কেবিনে এটিএম শামসুজ্জামান
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৪৮ পিএম, ২১ মে ২০১৯ মঙ্গলবার
তাকে নিয়ে দফায় দফায় মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হয়েছে। কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে? অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান এখন অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠছেন। এরই মধ্যে দীর্ঘ ২৩ দিন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) থাকার পর সোমবার তাকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে।
নন্দিত এই অভিনেতা গুরুতর অসুস্থ হয়ে গত এপ্রিলে রাজধানীর আজগর আলী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হন। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় দীর্ঘদিন। এর মধ্যে বেশ কয়েক দফায় তাকে নিয়ে ছড়ানো হয় মৃত্যুর গুজব। তবে সব গুজব উড়িয়ে দিয়ে সবার দোয়ায় অবশেষে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন।
এ বিষয়ে এটিএম শামসুজ্জামানের মেজ মেয়ে কোয়েল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাবার শরীর এখন অনেকটাই ভালো। স্বাভাবিকভাবে সবার সঙ্গে কথা বলছেন। চিকিৎসক তাকে কেবিনে স্থানন্তর করেছেন। সবার কাছে দোয়া চাচ্ছি তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে বাসা ফিরেতে পারেন।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি তাকে দেখা গেছে হাস্যোজ্জ্বল মুখে, নায়িকা পপির সঙ্গে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আনন্দমাখা সেই ছবিও প্রকাশ পেয়েছে।
উল্লেখ্য, এটিএম শামসুজ্জামান বাংলা চলচ্চিত্রের এক কিংবদন্তীতুল্য অভিনেতা। তার অসাধারণ অভিনয় দক্ষতা তাকে এনে দিয়েছে তারকা খ্যাতি।
গুণী এই অভিনেতা ১৯৪১ সালে নোয়াখালি জেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম নুরুজ্জামান ও মা নুরুন্নেসা বেগম। আট ভাইবোনের মধ্যে শামসুজ্জামান সবার বড়।
প্রায় ছয় দশক ধরে তিনি রূপালী পর্দার দর্শককে মাতিয়ে রেখেছেন। কখনও হাসিছেন কখনও বা কাঁদিয়েছেন অভিনয় শৈলী দিয়ে। পাঁচ পাঁচবার অর্জন করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদকও। বাংলা চলচ্চিত্রের প্রখ্যাত এই অভিনেতা শুধু অভিনয়ে সীমাবদ্ধ থাকেননি। পাশাপাশি তিনি পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপকার ও গল্পকার হিসেবে সমধিক পরিচিতি পেয়েছেন।
এসএ/