সৌদি আরবে হুতিদের ড্রোন হামলা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:৪৫ পিএম, ২১ মে ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০২:৫৮ পিএম, ২১ মে ২০১৯ মঙ্গলবার
হুতিদের বিরুদ্ধে বেসামরিক স্থাপনায় ড্রোন হামলার অভিযোগ তুলেছে সৌদি আরব। নাজরান প্রদেশে বেসামরিক একটি স্থাপনায় বিস্ফোরকবাহী ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে দাবি সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব সামরিক জোটের।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার তারা এ কথা জানালেও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেনি।
ইয়েমেনের হুতিদের আল মাসিরাহ টেলিভিশন জানায়, হুতি বিদ্রোহীরা সৌদি আরবের নাজরান বিমানবন্দরের একটি অস্ত্র গুদামে হামলা চালিয়েছে, হামলার পর গুদামটিতে আগুন ধরে যায়।
এর আগে সোমবার হুতিরা মক্কা ও জেদ্দায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মিসাইল ছুড়েছিল বলে সৌদি গণমাধ্যম জানালেও, অস্বীকার করেছে বিদ্রোহী হুতিরা।
চলামান যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র পারস্য উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ইরানের তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই ইরান সমর্থিত হুতিরা সৌদি আরবে পরপর কয়েকটি ড্রোন হামলা চালাল।
এর আগে, কয়েকদিন আগে সৌদি আরবে আরামকো তেল কোম্পানির দুটি অয়েল পাম্পিং স্টেশনে ড্রোন হামলা তেহরান উস্কে দিয়েছিল বলে অভিযোগ রিয়াদের। তবে, ইরান তা সরাসরি অস্বীকার করেছে।
২০১৪ সালের শেষ দিকে ইয়েমেনের সৌদি সমর্থিত সুন্নি প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাজধানী সানা দখল করে নেয় শিয়া হুতি বিদ্রোহীরা।
এর কয়েকমাস পর হুতিদের প্রতিরোধ করে ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে ফের ক্ষমতায় বসাতে ইয়েমনের গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করে পশ্চিমা সমর্থিত সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃত্বাধীন আরব জোট বাহিনী।
এরপর থেকে গত চার বছর ধরে চলা ইয়েমেনের যুদ্ধে অন্তত ছয় হাজার ৮০০ বেসামরিক নিহত ও ১০,৭০০ জনেরও বেশি আহত এবং এক হাজারেরও বেশি মসজিদ ধ্বংস হয়েছে বলে ভাষ্য জাতিসংঘের।
অপুষ্টি, অসুখ ও ভগ্নস্বাস্থ্যের মতো নিরাময় যোগ্য কারণে আরও কয়েক হাজার বেসামরিক লোকের মৃত্যু হয়েছে এবং দেশটি দুর্ভিক্ষের প্রান্তে চলে গেছে।
সূত্র : রয়টার্স
আই//