ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

জ্ঞানীর মর্যাদা সম্পর্কে কুরআন ও হাদীস

অধ্যাপক মাওলানা আতিকুর রহমান ভূঁইয়া :

প্রকাশিত : ০৪:১৩ পিএম, ২১ মে ২০১৯ মঙ্গলবার

মুসলমানদের জন্য জ্ঞান অর্জনকে ফরজ ও অবশ্য কর্তব্য করা হয়েছে। যারা জানে আর যারা জানে না তারা সমান হতে পারে না। আল্লাহ জ্ঞানী ব্যক্তিকে পছন্দ করেন।

কুরআনে জ্ঞান/জ্ঞানী সম্পর্কে আল্লাহ ইরশাদ করেন : ‘পড়, (হে নবী) তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন; জমাট বাঁধা রক্তের এক পিণ্ড হতে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন; পড়, আর তোমার রব বড়ই অনুগ্রহশীল। যিনি কলমের সাহায্যে জ্ঞান শিখিয়েছেন। মানুষকে এমন জ্ঞান দিয়েছেন যা সে জানতো না। (আলাক ১-৫)

‘পরম করুণাময় আল্লাহ এ কুরআনের শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে কথা বলা শিক্ষা দিয়েছেন।’ (আর রহমান ১-৪)

‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদেরকে উচ্চ মর্যাদা দেবেন। আর যা কিছু তোমরা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে পূর্ণ অবহিত।’ (মুযাদালা ১১)

‘আপনি বলুন, যারা জানে আর যারা জানে না তারা কি সমান হতে পারে? বুদ্ধিমান লোকেরাই তো নসীহত কবুল করে থাকে। (যুমার ৯)

‘প্রকৃত কথা এই যে, আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে কেবল ইলম সম্পন্ন লোকেরাই তাঁকে ভয় করে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহাশক্তিশালী ও ক্ষমাশীল।’ (ফাতির ২৮)

‘আল্লাহ নিজেই এ কথার সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, তিনি ছাড়া আর কেহ ইলাহ নেই। ফিরিশতা এবং জ্ঞানবান লোকেরাও সততা ও ইনসাফের সঙ্গে এ সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, প্রকৃতপক্ষে সেই মহাপরাক্রমশালী ও বিজ্ঞানী ছাড়া আর কেহই ইলাহ হতে পারে না।’ (আলে-ইমরান ১৮)

‘পক্ষান্তরে যারা জ্ঞান ও বিদ্যায় পাকাপোক্ত লোক তারা বলে আমরা উহার প্রতি ঈমান এনেছি, সবই আমাদের রবের তরফ হতে এসেছে। আর সত্য কথা এই যে, কোন জিনিস হতে প্রকৃত শিক্ষা কেবল জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন লোকেরাই লাভ করে।’ (আলে-ইমরান ৭)

জ্ঞানীর মর্যাদা সম্পর্কে হাদীস : হযরত আনাস (রা.) হতে বর্ণিত, নবী করীম (সা.) বলেছেন, প্রতিটি মুসলিম নর-নারীর উপরই ইলম শিক্ষা করা ফরজ। (ইবনে মাযাহ)

হযরত আনাস (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলে করীম (সা.) বলেছেন, দ্বীনী ইলম শিক্ষা করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ-অবশ্য কর্তব্য। আর অপাত্রে ইলম রাখা শূকরের কণ্ঠে জওহার মোতি ও স্বর্ণের হার বুঝানোর ন্যায়। (ইবনে মাজাহ)

হযরত আনাস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে ব্যক্তি ইলম অন্বেষণে বের হয়, সে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত আল্লাহর পথেই থাকে। (তিরমিযি, দারেমী)

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জ্ঞানের কথা বিজ্ঞজনের হারানো সম্পদ। যে যেখানেই তা পাবে সেই হবে তার সবচেয়ে বেশি অধিকারী। (তিরমিযি, ইবনে মাযাহ)

(কোরআন ও হাদীস সঞ্চয়ন)

এএইচ/