ভুল ইনজেকশনে মৃত্যুরমুখে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৫১ পিএম, ২১ মে ২০১৯ মঙ্গলবার
ভুল ইনজেকশন পুশ করায় মৃত্যুরমুখে পড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক ছাত্রী। অসুস্থ শিক্ষার্থীরা নাম মরিয়ম সুলতানা মুন্নি। সে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী এবং গোপালগঞ্জ সদরের চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের মোশারফ বিশ্বাসের মেয়ে।
আজ সকালে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। মেয়েটির অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে খুলনার শেখ আবু নাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বেশকিছু দিন থেকে ওই শিক্ষার্থী পিত্তথলিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আব্দুল মতিনের তত্ত্বাবধানে একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. তপন মন্ডলের কাছে চিকিৎসা নিয়ে আসছিলেন মুন্নি।
গেল সোমবার রাতে হঠাৎ হাসপাতালে মুন্নির পোস্ট এনেস্থেটিক একটিভিটি সম্পন্ন করা হয়। আজ সকালে তার অপারেশন করার কথা ছিল। সে অনুযায়ী হাসপাতালের ফিমেল ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহনাজ সকালে রোগীর ফাইল না দেখে গ্যাসট্রাইটিসের ইনজেকশন সারজেলের পরিবর্তে অ্যানেস্থেসিয়ার (অজ্ঞান কারার) ইনজেকশন সারভেক ওই রোগীর শরীরে পুশ করেন।
এতেই বিপত্তি ঘটে। ইনজেকশন পুশ করা মাত্রই অজ্ঞান হয়ে পড়ে মুন্নি। দীর্ঘক্ষণ জ্ঞান না ফেরায় অবস্থা সংকটাপন্ন হলে দ্রুত তাকে খুলনায় প্রেরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও মুন্নির চিকিৎসক তপন মন্ডল বলেন, নার্স ভুল ইনজেকশন পুশ করার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।
ইনজেকশন দেয়ার আগে রোগির ফাইল ভালো করে চেক করে নেওয়ার কথা থাকলেও সেটা না করেই ইনজেকশন পুশ করায় এমনটা হয়েছে বলে জানান তারা।
এদিকে, এ ঘটনায় দায়িত্বরত নার্সের ত্রুটি ও অবহেলা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আই// এসএইচ/