কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর নির্যাতনের প্রতিবেদন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:২৭ পিএম, ২১ মে ২০১৯ মঙ্গলবার
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু কাশ্মীরে সাধারণ মানুষের ওপর ভারতীয় বাহিনীর নির্যাতনের ভয়ঙ্কর ও লোমহর্ষক তথ্য প্রকাশ করেছে দুটি মানবাধিকার সংগঠন।
সংগঠন দুটি বলছে, ভারত সেখানকার মানুষের ওপর নির্যাতনের পাশাপাশি নিজেদের কর্তৃত্ব টিকিয়ে রাখতে নানা কৌশল খাটাচ্ছে। সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি বেসামরিক লোকদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বার্তা সংস্থা দ্যা এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের বরাত দিয়ে এমনটাই জানা গেছে।
সোমবার অ্যাসোসিয়েশন অব পেরেন্টস অব ডিসঅ্যাপিয়ার্ড পারসনস ও জম্মু-কাশ্মীর কোয়ালিশন অব সিভিল সোসাইটি নামের দুটি মানবাধিকার সংস্থা এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে এমন ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাধীনতাকামী কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের ওপর বিগত ৩০ বছর ধরে নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়ে আসছে ভারতীয় বাহিনী। নির্যাতনের মাত্রা ও ধরণ প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। শাস্তির পাশাপাশি গরম পানিতে ডুবিয়ে রাখার মত ঘটনাও যুক্ত হয়েছে।
শুধু সামরিক বাহিনী নয়, বেসামরিক অসংখ্য স্বাধীনতাকামী মানুষও এ নির্যাতনের এর শিকার হচ্ছে।
সোমবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে এসব নির্যাতনকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন জানিয়ে জাতিসংঘকে এগিয়ে আসার আহব্বান জানানো হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ৪৩২ নিখোঁজ কাশ্মীরির ঘটনায় গবেষণা চালিয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটি। যার মধ্যে ৪০ জনকে শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দেওয়া তথ্যমতে, ১৯০ বন্দিকে নির্যাতন করা হয়েছে। ৩২৬ বন্দিকে লোহার রড ও চামড়ার বেল্ট দিয়ে মারধর করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৪ কাশ্মীরিকে বৈদ্যুতিক শক দেওয়াসহ আরও ১৬৯ বন্দির ওপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালানো হয়েছে।
এমনকি এ নির্যাতন থেকে বাদ যায়নি নারী, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীও। এ নির্যাতেনর শিকার হয়েছেন ৩০১ জন বন্দি।
তবে বরাবরের মতো এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভারত সরকর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের এক উচ্চপদস্থ নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগ সংক্রান্ত কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর এ ব্যাপারে সরকার প্রতিক্রিয়া জানাবে।
তথ্যসূত্র: দ্যা এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
আই// এসএইচ/