শেয়াবাজারে টানা পতনে হতাশা বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৩৫ পিএম, ২১ মে ২০১৯ মঙ্গলবার
ব্যাংকগুলোকে শেয়ারবাজারে বেশি বিনিয়োগের সুযোগ দিলেও তারল্য সঙ্কটে ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারছে না। শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন জারির পর শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হলেও তা স্থায়ী হয়নি। বরং আবারও টানা দরপতন দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে টানা দুই কার্যদিবস মূল্যসূচক ও লেনদেন কমলো। এর আগের দিন গত রবিবার শেয়াবাজারের সূচকের অনেক বড় উত্থান হয়। গত বৃহস্পতিবার ব্যাংকের এক্সপোজারে সংশোধনী এনে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেয়ারবাজারের খারাপ শেয়ারের পাশাপাশি ভাল শেয়ারগুলোরও দরপতন হচ্ছে। ফলে পুরো বাজারে তার প্রভাব পড়ছে। আর বাজারে ভাল শেয়ারের সংখ্যাও কম। এ সংখ্যা বাড়ানোর জন্য বিএসইসির প্রয়োজনীয় উদ্যোগও নিচ্ছে না।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় কমেছিল ৫৯ পয়েন্ট। আর গতকাল মঙ্গলবার এ সূচকটি ৩৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৩৬ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৯৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮২২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
মূল্যসূচকে এই উত্থানের দিনে ডিএসইতে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার দ্বিগুণের বেশি। দিনভর বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৮৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২১৭টির এবং দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৩টির।
মূল্যসূচক ও সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমার পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে মাত্র ৩৫১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৮৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার। সে হিসাবে আজ লেনদেন কমেছে ৩৬ কোটি ৪ লাখ টাকা।
বাজারটিতে টাকার পরিমাণে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে রানার অটোমোবাইলের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকার লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে ফরচুন সুজ এবং ১২ কোটি ৮১ লাখ টাকা লেনদেনে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে এসকে ট্রিমস।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, ব্র্যাক ব্যাংক, ডরিন পাওয়ার, ইস্টার্ন কেবলস, ন্যাশনাল টিউবস, এস্কয়ার নিট কম্পোজিট এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন।
অন্যদিকে মঙ্গলবার সিএসই’র সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স ৪৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৭০২ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ৫১ লাখ টাকার। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬০টির, কমেছে ১১৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির।
কেআই/