যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের মৃতদেহ থেকে তৈরি হবে জৈব সার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৫৮ পিএম, ২২ মে ২০১৯ বুধবার
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন রাজ্যে মানব শরীর দিয়ে কম্পোস্ট বা জৈব সার তৈরির অনুমতি দিয়ে একটি আইনের অনুমোদন করেছে। এই আইন অনুযায়ী, মৃত্যুর পর নিজের শরীরকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে কম্পোস্ট সার তৈরির নির্দেশনা দিয়ে যেতে পারবেন।
প্রচলিত রীতির কবর দেওয়ার বিকল্প হিসেবে এই পদ্ধতিকে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে যেসব শহরে কবরস্থানের বা নতুন করে কবর দেওয়ার সংকট তৈরি হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি একটি বিকল্প সমাধান হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মাটির সঙ্গে মিশে মৃতদেহ সারে পরিণত হওয়ার পর, সেই মাটি তার প্রিয়জনদের দেয়া হবে, যাতে তারা ফুলগাছ, সবজির চারা বা বৃক্ষ রোপণ করতে পারেন।
ওয়াশিংটন রাজ্যের গভর্নর জে ইনস্লে মঙ্গলবার স্বাক্ষর করার পর ওই বিলটি আইনে পরিণত হয়েছে।
বিলের পক্ষে আন্দোলনকারী ক্যাটরিনা স্পাড এএফপিকে বলেছেন, ‘সাধারণ কবর দেওয়ার বদলে এরকম মাটির সাথে মিশে যাওয়ার বিকল্প পদ্ধতি হবে প্রাকৃতিক, নিরাপদ, স্থায়ী এবং পৃথিবীর ভূমির ব্যবহার ও কার্বন নিঃসরণ কমাতে ভূমিকা রাখবে।’ তিনি এজন্য একটি কোম্পানি গঠন করেছেন, যারা এ ধরণের কাজে সহায়তা করবে।
কিভাবে কাজ করবে এই পদ্ধতি?
স্পাড বলছেন, ছয়টি কোণ বিশিষ্ট একটি ইস্পাতের বাক্সের ভেতর এক ধরণের উদ্ভিদ-যা প্রাণী দেহ কেন্দ্র করে বেড়ে ওঠে, কাঠের টুকরো আর খড়কুটো দিয়ে মৃতদেহ রাখা হবে।
এরপর সেই বাক্সটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবেই মৃতদেহ পচে যাবে এবং মাটিতে পরিণত হবে।
পরিবেশ-বান্ধব সমাধি প্রকৃতি দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ মাসের প্রথমদিকে জানা গেছে, প্রয়াত অভিনেতা লুক পেরিকে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ‘মাশরুম স্যুইটে’ সমাধিত করা হয়েছে।
ওই স্যুইটের নির্মাতা জে রাইম লি বলেছেন, যখন কোন মৃতদেহ মাটিতে সমাধি দেওয়া হয় বা পুড়িয়ে ফেলা হয়, তখন যে বিষাক্ত গ্যাস পরিবেশে মেশে, এই প্রক্রিয়ার ফলে সেটি কমে যাবে।
মানব মৃতদেহকে সারে পরিণত করার প্রক্রিয়াটি ইতোমধ্যে সুইডেনে আইনসিদ্ধ করা হয়েছে। কোন বাক্স বা কফিন ছাড়া মৃতদেহ সমাধির প্রাকৃতিক সমাধি প্রক্রিয়া যুক্তরাজ্যে আইনগত বৈধতা পেয়েছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
এমএইচ/