চাল আমদানিতে শুল্ক বাড়িয়ে এনবিআরের পরিপত্র জারি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৩০ পিএম, ২২ মে ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০৮:৪৯ পিএম, ২২ মে ২০১৯ বুধবার
দেশে চাল আমদানিকে নিরুৎসাহিত করতে এর আমদানির উপর শুল্ক-কর বাড়িয়ে এক পরিপত্র জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এনবিআর’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এনবিআর চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে চালের উপর বর্তমানে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ বহাল রেখে রেগুলেটরি ডিওটি ৩ শতাংশ হতে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। একই সাথে এ সব পণ্যের উপর ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর আরোপ করা হয়েছে। ফলে চাল আমদানির ক্ষেত্রে করভার ৫৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। যা আজ থেকেই কার্যকর হবে।
এ বিষয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও এনবিআর’র চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, চলতি ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ১০ মাসে প্রায় ৩ লাখ ৩ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে। এতে দেশীয় কৃষকরা উৎপাদন খরচের চেয়ে কম মূল্যে চাল বিক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছে।
ফলে প্রান্তিক কৃষকরা আর্থিকভাবে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। কৃষকের আর্থিক ক্ষতি হতে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশণায় আমরা আমদানি পর্যায়ে চালের উপর আমদানি শুল্ক কর বাড়িয়েছি।
এর আগে সোমবার খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি কৃষকের স্বার্থ সংরক্ষণে সরাসরি তাদের কাছ থেকে ধান ক্রয় ও চাল আমদানি বন্ধের সুপারিশ করে। কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত এই কমিটির সভায় স্বচ্ছতার সঙ্গে ধান সংরক্ষণ করার সুপারিশও করা হয়।
উল্লেখ্য, দেশে এখন চাহিদার তুলনায় বেশি ধান-চাল রয়েছে। বোরো ধান কাটা শেষের দিকে। দামও কমছে। উৎপাদন খরচের প্রায় অর্ধেক দামে ধান বেচতে হচ্ছে কৃষককে। অথচ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে সরকারি-বেসরকারিভাবে গত ১০ মাসে ২ লাখ টন চাল আমদানি হয়েছে। আমদানির অপেক্ষায় রয়েছে আরও ৩ লাখ ৮০ হাজার টন চাল। এ পরিস্থিতিতে ধান ও চালের ন্যায্য দাম পেতে কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন আন্দোলন ও দাবি উঠতে দেখা গেছে।
আরকে//