ঈদ বাজারে নজর কেড়েছে মসলিন (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৫২ এএম, ২৩ মে ২০১৯ বৃহস্পতিবার
জমকালো থেকে হালকা নকশার শাড়িতে এবার ঝুঁকেছেন নারীরা। ভারতীয় শাড়ি কাঞ্জিভরম, গাদোয়াল, চেন্নাই কাতান ও লিনেন ফ্লোরাল আছে পছন্দের শীর্ষে। দেশী শাড়ির মধ্যে মসলিন এমব্রয়ডারিতে আনা হয়েছে বৈচিত্র্য। বিক্রেতারা বলছেন, এবার জামদানি, টাঙ্গাইল এবং তাঁতের শাড়ির বিক্রি ভালো বলে।
যেকোন উৎসবেই বাঙালি নারীর পছন্দ শাড়ি। ঈদের আগে বাহারী রঙ আর নকশার শাড়িতে ফ্যাশন হাউজগুলোতে উৎসবের আমেজ।
ঈদের শাড়িতে স্বাভাবিকভাবেই আভিজাত্য আর নতুনত্ব খুঁজে বেড়ান ক্রেতারা। মসলিন এমব্রয়ডারি শাড়িজুড়ে ফুল-লতা পাতার নিখুঁত বুনন। মসলিন কোটা এমব্রয়ডারি শাড়ির পাড়জুড়ে মিনার কাজ। আর কাতান শাড়ির নকশায়ও এসেছে ভিন্নতা।
ভারতীয় শাড়ির কদরও কম নয়। কাঞ্জিভরমে ঠাসা বুনটের কাজ, বিভিন্ন রং আর নকশার শাড়িগুলোর দাম বারো হাজার থেকে শুরু করে দেড় লাখ টাকা। উজ্জ্বল রঙের গাদোয়াল শাড়িতে কলকি, ফুল আর বরফি নকশার জমকালো কাজ। বিক্রি হচ্ছে সাত থেকে ত্রিশ হাজার টাকার মধ্যে। তবে এখনও বাজার এখনো জমে ওঠেনি বলছেন বিক্রেতারা।
জয়পুরী, ব্যাঙ্গালুরু কাতান, লিনেন ফ্লোরাল শাড়িতে স্টোনের হালকা ও ভারী কাজের শাড়িগুলোও খুঁজছেন ক্রেতারা। চেন্নাই কাতান এবং লুথিয়ানা শাড়িও আছে পছন্দের শীর্ষে। প্রিয়জনদের জন্য বিভিন্ন দোকান ঘুরে সাধ্যের মধ্যে শাড়ি কিনছেন ক্রেতারা। যদিও বিক্রি নিয়ে হতাশ বিক্রেতারা।
জামদানির বুননে আছে বাঙালি ঐতিহ্য। সবসময়েই নারীর পছন্দের তালিকায় থাকে জামদানী। দোকানিরা জানালেন, বিক্রিও ভালো হচ্ছে।
এছাড়া টাঙ্গাইল ও তাঁতের শাড়িতে রং ও নকশায় এবার যোগ হয়েছে নানান বৈচিত্র্য।
এবারের ঈদে গরম ও বর্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে হালকা এবং ভারী সবধরণের শাড়িতেই ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে প্রস্তুত বিক্রেতারা।