ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

‘ইভিএম চুরি করে জয় পেয়েছে বিজেপি’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৩ এএম, ২৪ মে ২০১৯ শুক্রবার

নির্বাচন হাইজ্যাক করে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন উত্তরপ্রদেশের বিএসপি প্রধান মায়াবতী। শাসক এনডিএ হোক বা কংগ্রেস বা মায়া-মুলায়ম, উত্তরপ্রদেশের দখল নিতে তৎপরতা দেখিয়েছিলেন সব পক্ষই। কিন্তু পারল শুধু বিজেপি।

অঙ্কের হিসেবে মহাজোট অগ্রাধিকার পেলেও তা প্রভাব ফেলল না ভোটবাক্সে। উত্তরপ্রদেশের দখল নিতে পারলেই মসৃণ হয় প্রধানমন্ত্রিত্বের পথ, এটাই বলেন অনেক সময় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সেখানেই পিছিয়ে পড়েছেন মায়াবতী-অখিলেশরা।

মায়াবতী বলেন, ইভিএম কারচুপি করেছে বিজেপি। সে কারণেই এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা।

উত্তরপ্রদেশের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী আর মুলায়মের চিরবৈরিতার আড়াল দূরে রেখে সমাজবাদী পার্টি আর বহুজন সমাজ পার্টিকে এক জায়গায় এনেছিলেন অখিলেশ যাদব।

অজিত সিংহের রাষ্ট্রীয় লোক দলও ছিল জোটে। মহাজোটের লক্ষ্যই ছিল যাদব-দলিত-মুসলিম-জাঠ ভোটব্যাঙ্ককে এককাট্টা করা। কারণ লোকসভায় সবচেয়ে বেশি সাংসদও নির্বাচিত হয়েছেন এই উত্তরপ্রদেশের মাটি থেকেই।

কিন্তু চরম ব্যর্থ হল এসপি-বিএসপি-আরএলডি জোট। ৮০টি আসনের এক চতুর্থাংশও না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মায়াবতী এক হাত নিলেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ ও বিজেপিকে।

ফলপ্রকাশের পর বৃহস্পতিবার রাতে মায়াবতী বললেন, ‘‘ইভিএম কারচুপি করে নির্বাচন হাইজ্যাক করেছে বিজেপি। বিশেষ কোনও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভোট গিয়েছে বিজেপির দখলেই। এটা একেবারেই চক্রান্ত।’’

‘মহাগটবন্ধন’-এর থেকে এই পারফরম্যান্স তিনি একেবারেই আশা করেননি। ‘‘ইভিএমের বিরোধিতা করে এসেছে সারা দেশ, মানুষের বিশ্বাসটুকুও ফলপ্রকাশের পর হারিয়ে গেল, দেশের বিশ্বাসভঙ্গ করেছে বিজেপি।’’ বললেন তিনি।

নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপি দু’য়ের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলে মায়া বলেন, ‘কোনও একটা রহস্য তো রয়েছেই। কারণ এই দু’জনের কেউই ব্যালট বাক্সের ভোটে রাজি হয়নি।’

২০১৭ সালেও বিধানসভা নির্বাচনের পর ইভিএম কারচুপির অভিযোগ আনেন মায়া।

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার

এমএইচ/