কৃষি নিয়ে বিএনপির কথা বলার অধিকার নেই: তথ্যমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৫৯ এএম, ২৫ মে ২০১৯ শনিবার
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল বাংলাদেশ। এখন খাদ্যে উদ্বৃত্ত অর্জন করেছে। তাদের সময়ে কৃষকরা সারের দাবিতে আন্দোলন করলে গুলি করে ১৮ জন কৃষককে হত্যা করেছিল।
তিনি বলেন, যারা কৃষকদের গুলি করে মারে, সার বীজ দিতে পারে না, কৃষকদের লুটপাট করে তাদের কৃষি এবং কৃষকদের নিয়ে কথা বলার অধিকার নেই।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর ১৯৯৯ সালে খাদ্য ঘাটতি থেকে উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে বিএনপি আবারও ক্ষমতায় এসে তাদের লুটপাটের কারণে দেশে আবারও খাদ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছিল।
বিএনপির অর্থমন্ত্রী তখন বলেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষ তিন বেলা ভাত খাওয়ার কারণে দেশে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়। তিনি সে সময় ভাতের পরিবর্তে সবাইকে আলু খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
শুক্রবার চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা সদরের নূরজাহান কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে পুনরায় ক্ষমতায় এসে সার বীজসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণে ভর্তুকি প্রদান করাসহ বিভিন্ন যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় বাংলাদেশ এখন খাদ্যে উদ্বৃত্ত অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আবাদি জমির পরিমাণ বিশ্বে সর্বনিম্নে হলেও দেশ এখন খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। দেশে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানের অতিরিক্ত ফলনের কারণে দাম কম হলে সরকার চাল আমদানিতে শুল্ক বাড়িয়ে দিয়েছে। ২৬ টাকা কেজি দরে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করছে। এর ফলে বাজারে ধানের দাম স্থিতিশীলতা আসতে শুরু করেছে। অথচ বিএনপি কৃষকের উন্নয়নে কিছু না করেও এখনো নানা কূটকৌশলে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চাচ্ছে। জুটমিলের শ্রমিকদের আন্দোলনে উস্কানি দিয়ে কৃষকদের ফুসলিয়ে তাদের দিয়ে আন্দোলন করাতে চেয়েছে। কিন্তু জনগণ বিএনপির এমন ঘৃণ্য কাজ রুখে দিয়েছে।
দলীয় নেতাকর্মীদের সাধারণ মানুষের সাথে বিনয়ী আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দল এখন পর পর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায়। আমরা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর কোনো আনন্দ মিছিল করিনি। দল ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হয়। ক্ষমতায় থেকে তা প্রদর্শন করলে আল্লাহও নারাজ হন। তাই নেতাকর্মীদের বিনয়ী ও নম্র হতে হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সামশুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক স্বজন কুমার তালুকদার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মাদ আলী শাহ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য কামরুল ইসলাম চৌধুরী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ইদ্রিছ আজগর, সদস্য নজরুল ইসলাম তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ছাদেকুন নূর সিকদার প্রমুখ।
আ আ//