ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

এইচএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:৪১ পিএম, ২৫ মে ২০১৯ শনিবার

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের সিরাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল (এসএম) কলেজে ২০১৯ সালের এইচ এস সি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। কম নম্বর প্রদান ও ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা। টাকা গ্রহণের বিষয়ে কিছু জানেন না প্রতিষ্ঠানের প্রধান কিন্তু শিক্ষকরা বলছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানের আদেশেই টাকা তোলা হয়েছে।

পরীক্ষার্থীরা জানায়, বোর্ডের নির্ধারিত সময়ে তাত্ত্বিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এখন ব্যবহারিক পরীক্ষা চলছে। প্রতি বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য আমাদেরকে ১০০ থেকে ২০০ টাকা হারে ফি দিতে হয়েছে। এমনকি যে বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা নেই, সে বিষয়ে টাকা নেওয়া হয়েছে। কলেজের সাড়ে তিনশ’র ও বেশি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে এভাবে টাকা গ্রহণ করা হয়েছে।

শিক্ষার্থী মো. শাকিল হোসেন বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা না থাকলে ও ধারাবাহিক মূল্যায়ণের নামে অনুরূপ টাকা গ্রহণ করা হয়েছে।

শিক্ষার্থী মো. নয়ন বলেন, ৬ টি বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষায় প্রায় ১ হাজার টাকা দিয়েছি। অথচ প্রত্যেক বিষয়ে বোর্ড নির্ধারিত টাকা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের ১৩ টাকা হারে এবং কেন্দ্রে ৭ টাকা হারে পরীক্ষার ফি বাবদ গ্রহণ করা হয়। সরকারি সিরাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ কেন্দ্র এবং রওশন আরা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্র দুটি পাশাপাশি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ওই টাকা গ্রহণ করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পরীক্ষার্থী বলেন, প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০০ থেকে ২০০ টাকা হারে, কৃষি শিক্ষা বিষয়ে এ কেন্দ্রের ১১০ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ১০০ টাকা হারে এমনিভাবে পদার্থ, রসায়ন, গণিত, জীববিদ্যাসহ সব ব্যবহারিক বিষয়ে টাকা গ্রহণ করা হয়। এসব টাকা সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকরা এবং ক্ষেত্র বিশেষ প্রতিষ্ঠান প্রধানের যোগসাজসে শিক্ষার্থীর কাছ থেকে উত্তোলন করা হয়ে থাকে।

এসএম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বায়জিদ শিকদার বলেন, টাকা গ্রহণের বিষয়টি সত্য। এভাবে টাকা গ্রহণ অন্যায়। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।

কলেজের লাইব্রেরিয়ান সালাহউদ্দনি বলনে, অধ্যক্ষ আমাকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে পাঠদানে সহযোগতিা করতে বলছেনে। সেই সুবাধে আমি কিছু টাকা তুলেছি এবং ওই বিষয়ের শিক্ষকও টাকা তুলেছেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে পাঠদান কারী শিক্ষক কিশর রঞ্জন মত্রৈ বলেন, কলেজের  অধ্যক্ষরে অনুমতিতে এ টাকা উঠানো হয়ছে।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এমাদুল হকের বলেন, টাকার বষিয়ে আমার জানা নইে। তবে খোঁজ নিয়ে দেখবো। বিষয়টির সত্যতা পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সরকারি সিরাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো, কামরুজ্জামান বলেন এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। তবে যদি নিয়ে থাকে আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।