ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

কিডনি রোগীরা রোজা রাখবেন যেভাবে (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৩৫ পিএম, ২৫ মে ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০৩:৩৭ পিএম, ২৫ মে ২০১৯ শনিবার

শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মধ্যে কিডনি একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এই অঙ্গ কোনোভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হলে শরীরে নানা জটিলতা দেখা দেয় এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই খাবার দাবার এবং লাইফস্টাইল সম্পর্কে সচেতন হওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কিডনি রোগীরা রোজা রাখতে পারবেন কি না? বা রাখলেও কিভাবে রাখতে হবে? এ নিয়ে একুশে টিভির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘সিয়াম ও আপনার সাস্থ্য’ অনুষ্ঠানে আলোচনা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন বিশিষ্ট কিডনী রোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. এম এ সামাদ-কিডনী রোগ বিভাগের চীফ কনসালট্যান্ট ও বিভাগীয় প্রধান, বিশিষ্ট কিডনী রোগ বিশেষজ্ঞ, বিআরবি হাসপাতাল। উপস্থাপনা করেন ডা. নন্দিনী সরকার। শ্রুতি লেখক একুশে টিভি অনলাইন প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান।

প্রফেসর ডা. এম এ সামাদ বলেন, বাংলাদেশে দুই কোটিরও বেশি কিডনি রোগী রয়েছে। এ সংখ্যাটা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তিন বলেন, যারা কিডনি রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে আছেন তারা রোজা রাখতে পারবেন। তবে কিডনি রোগের সাথে যদি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস অথবা উচ্চরক্তচাপ থাকে তাদের জন্য রোজা রাখাটা একটু কঠিন হবে।

যারা হঠাৎ করে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তারা চিকিৎসা নিলে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যতদিন চিকিৎসা নিবেন ততদিন রোজা না রেখে বাকী সময়গুলোতে রোজা রাখতে পারবেন।

কিডনি প্রতিস্থাপনকারীদের সম্পর্কে তিনি বলেন, যাদের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে তাদের জন্য প্রথম বছর রোজা না রাখাটাই ভালো। তবে এক বছরের পর থেকে তারা রোজা রাখতে পারবেন। যদি তাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস অথবা উচ্চরক্তচাপ না থাকে।

একজন রোজাদারকে সুস্থ্য থাকার জন্য ইফতার থেকে সেহরীর আগ পর্যন্ত কমপক্ষে আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হবে। তবে যারা রোদে কাজ করেন তাদের জন্য আরো বেশি পানি পান করতে হবে।

তবে যাদের অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে মাথা চক্কর দেয় তাদের জন্য আগে রক্তচাপ মেপে নিতে হবে। যদি কম থাকে তাহলে সাথে সাথে রোজা ভেঙ্গে তাকে পানি পান করতে হবে। বিশেষ করে লবণ যুক্ত পানি বা ডাবের পানি।

কিডনি রোগের যারা শেষ পর্যায়ে আছে তাদের রোজা সম্পর্কে ডা. এম এ সামাদ বলেন, কিডনি রোগের যারা শেষ পর্বে তথা স্টেজ পাঁচে আছে এবং যাদের ডায়ালাইসিস চলছে তাদের জন্য রোজা রাখাটা খুবই কঠিন। তাই তাদের জন্য রোজা না রাখলেও চলবে। তবে কেউ যদি একান্ত রাখতে চান তাহলে ডায়ালাইসিস যেদিন করাবেন সেদিন রাখতে পারেন।

টানা ১৫ থেকে ১৬ ঘন্টা  রোজা রাখল। কিন্তু পর্যাপ্ত পানি পান করল না তাদের কিডনির ওপর বিরোপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই পর্যপ্ত পানি পান করলে এ সমস্যা হবে না।

যাদের কিডনিতে পাথর আছে তারা রোজা রাখতে পারবেন। তবে রোজা ভাঙ্গার পর তাদেরকে অবশ্যই তিন লিটারের বেশি পানি পান করতে হবে।

কিডনি জটিলতার কারণে যাদের হাত-পা ফুলে গেছে। এ সমস্যাটা যদি প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে তাহলে তারা রোজা রাখতে পারবেন। তবে তাদেরকে এক লিটার পানি বা তারচেয়ে একটু বেশি পানি পান করতে হবে। তবে পানি অল্প অল্প করে বারবার খেতে হবে।

ভিডিও

এমএইচ/