ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

সাইফুদ্দিন অলরাউন্ডারের আক্ষেপ ঘোচাতে পারবেন?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:২০ পিএম, ২৬ মে ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ০৫:৩৪ পিএম, ২৬ মে ২০১৯ রবিবার

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে পেস বোলিং অলরাউন্ডারের খরা দীর্ঘদিনের। এ জন্য প্রায় সময় আপসোস করেন নির্বাচকরা। এ তালিকায় বিভিন্ন সময় অনেকে নাম লেখালেও, দু’একজন বাদে অধিকাংশই ধরে রাখতে পারেননি নিজের স্বকীয়তা।

যার অভাব সব সময় দলে উপলব্ধি করা গেছে। এ তালিকায় জিয়াউর রহমান, ফরহাদ রেজার পাশাপাশি আছে বর্তমান অধিনায়ক মাশরাফী বিন মর্ত্তুজার নাম। দলের প্রয়োজনে অনেক সময় নিজেকে অলরাউন্ডার হিসেবে প্রমাণ করতে পারলেও, নেই ধারাবাহিকতা।

সম্প্রতি এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন পেসার সাইফুদ্দিন। ২০১৭ সালে কিম্বার্লিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন এ অলরাউন্ডার। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের বেশ পরিচিত মুখ তিনি।  

বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ১৩টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন সাইফুদ্দিন। ১৩ ম্যাচে ২৯.১৬ গড়ে ১৭৫ রান তুলেছেন তিনি, রয়েছে একটি হাফ সেঞ্চুরিও।

বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে শুরুটা ভালো হয়নি সাইফুদ্দিনের। কিন্তু দেশের মাটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

সর্বশেষ এ বছর নিউজিল্যান্ড ও আয়ার‍ল্যান্ডে নিজেকে ঝালিয়েছেন অনেকটা। খুব বেশি ভালো না করলেও গড়পড়তা পারফরম্যান্স দিয়ে টিকে আছেন সাইফুদ্দিন। ব্যাটিংয়ে খুব বেশি সুযোগ পাননি তিনি। প্রথম চার ম্যাচে একটি ফিফটি তোলেন। এরপর তিন ম্যাচে ব্যাট হাতে নামতে হয়নি তার।

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে খেলেছেন ৪১ ও ৪৪ রানের ইনিংস। প্রমাণ দিয়েছেন ব্যাট হাতে সামর্থ্যের। তাইতো বিশ্বকাপে এ অলরাউন্ডারের কাছে প্রত্যাশা একটু বেশিই।

ক্রিকেটের সবচেয় বড় আসরে নামার আগে বিবিসি’র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপ নিয়ে তার ভাবনা ও সামর্থ্য নিয়ে কথা বলেছেন।

সাইফুদ্দিন বলেন, "ইংল্যান্ডে পেস বোলাররা সুবিধা পায়, অলরাউন্ডার হিসেবেও সুবিধা পাবো। যেহেতু দুইটা ভূমিকা, তাই দলের প্রয়োজনে কাজ করার চেষ্টা করবো।

নিজেকে ব্যাটিং নাকি বোলিং হিসেবে দেখতে চান এমন প্রশ্নের জবাবে সাইফুদ্দিন বলেন, যেহেতু আমার প্রথম শক্তির জায়গা বোলিং, বিপিএলেও বোলার হিসেবে ভালো করেছি, সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলের হয়ে ভালো ব্যাট করেছি। "দলের প্রয়োজনে ব্যাট করার চেষ্টা করি, ১২০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করতে হলে সেভাবে খেলতে প্রস্তুত, ধরে খেলতে হলে ৭০ স্ট্রাইক রেটেও ব্যাট করতে পারবো। দলের প্রয়োজনে নিজেকে সব সময় কাজে লাগাতে চাই।

সাইফুদ্দিনকে নিয়ে নির্বাচকরাও বেশ আশাবাদি। তাইতো তাকে বিশ্বকাপে ট্রাম্পকার্ড হিসেবে রেখেছেন অধিনায়ক মাশরাফি ও টিম ম্যানেজমেন্ট।

তবে, সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষক ও ক্রিকেট কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম। তবে সাইফুদ্দিনের ভূমিকা বেশ বড় বলছেন তিনি।

ফাহিম বলেন, "সাইফুদ্দিন দলে না থাকলে শক্তিশালী একাদশ গঠন করা কঠিন। এখন প্রেসার দেয়া ঠিক হবে না তবে আস্তে-ধীরে ও আরও দৃঢ় হবে, মিডল ওভার ও স্লগ ওভারে খুব ভালো বোলিং করে সাইফুদ্দিন।"

ব্যাটিংয়ে খুব মারকুটে না হলেও, বোলিংয়ে সাইফুদ্দিনের ভূমিকা ভালো উল্লেখ করেন ফাহিম।

"নির্ভরযোগ্য একজন ব্যাটসম্যান যে বিপদে সহায়তা করতে পারবে, তবে ব্যাটিংয়ে না আমাদের ক্রাইসিস বোলিংয়ে সেখানে সাইফুদ্দিন ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন এ কোচ।

এখন দেখার বিষয় আসন্ন বিশ্বকাপে নিজেকে কতটুকু প্রমাণ করতে পারেন এ অলরাউন্ডার।

 

আই// এসএইচ/