তৃতীয় দশকে নাজাতের ফায়সালা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৪২ এএম, ২৭ মে ২০১৯ সোমবার
রমজানের প্রথম দশকে আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাকে রহমত বা দয়া বর্ষণ করেন, দ্বিতীয় দশকে মাগফিরাত বা ক্ষমা করেন এবং তৃতীয় দশকে নাজাতের ফায়সালা দেন।
রমজানের প্রথম দুই দশকের বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। তবে শেষ দশকের গুরুত্ব ও ফজিলত আরও অনেকে বেশি। কেননা এ দশকে শবে কদর রয়েছে। হাজার মাসের থেকেও উত্তম। এ রাতের কারণেই রমজানের তাৎপর্য ও ফজিলত পরিপূর্ণ হয়েছে।
হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, যখন রমজানের শেষ দশক আসত, তখন নবী করিম (সা.) কোমরে কাপড় বেঁধে নেমে পড়তেন (বেশি বেশি ইবাদতের প্রস্তুতি নিতেন) এবং রাত জেগে থাকতেন। আর পরিবার-পরিজনকেও তিনি জাগিয়ে দিতেন। (বুখারি)
উপরোক্ত হাদিস থেকে বোঝা যায় যে, শেষ দশকের তাৎপর্য ও ফজিলত কত কত বেশি। তাই শেষ দশককে শবে কদরের এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির দশক বলা হয়েছে। এই দশকে ইতিকাফের সঙ্গে লাইলাতুল কদরকে তালাশ করবো এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে ধর্ণা দিব।
রমজানের শেষ দিকে অনেকের মধ্যে ইবাদতে ঢিলেমি দেখা যায়। মনে হয় ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। মসজিদে মুসল্লির পরিমাণ কমে আসে। যেখানে রাসূল (সা.) প্রথম দুই দশকের চেয়েও শেষ দশকে বেশি বেশি ইবাদত করতেন সেখানে আমাদের এই অবস্থা বাঞ্ছনীয় নয়।
মনকে শক্ত করে নিন, সফলকামের জন্য প্রতিজ্ঞা করুন। আরামকে দূরে সরিয়ে রাখুন। এই ফজিলত কিন্তু আপনার জীবনে আবার নাও আসতে পারে। শেষ সুযোগ মনে করে ইবাদত-বন্দেগিতে মনোনিবেশ করুন। নফল নামাজের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন, কুরআন তেলাওয়াত করুন এবং তাহাজ্জুদের সময়কে বাড়িয়ে নিন। চেষ্টা করুন জাহান্নাম থেকে মুক্তির।
জীবনের পদে পদে পাপ জড়িয়ে আছে। আল্লাহর করুণা ছাড়া এ থেকে মুক্তির কোন পথ নেই। যে সুযোগ পেয়েছেন তাকে কাজে লাগাতে না পারলে জীবন বৃথা। তাই এই শেষ সময়টুকুকে আঁকড়ে ধরি, জাহান্নাম থেকে নাজাত লাভ করি।
এএইচ/