জাপান-বাংলাদেশের পুরানো বন্ধু
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:০৭ এএম, ২৮ মে ২০১৯ মঙ্গলবার
জাপান বাংলাদেশের পুরানা বন্ধু। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে জাপান। এক সময় সবচেয়ে বেশি সাহায্য করতো জাপান। জাপানের সঙ্গে যেন বাংলাদেশের অন্য রকম এক সম্পর্ক। জাপানিরা জাতি হিসেবে বেশ পরিশ্রমি। এছাড়াও জাপানিদের একটা বড় গুণ তারা পর-উপকারি।
এর নামই জাপান! দেশি কিংবা বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো যখন নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না করে দফায় দফায় প্রকল্প ব্যয় বাড়ানোর ধান্দায় থাকে, সেখানে জাপানিরা নির্ধারিত সময়ের আগে কাজ শেষ করে অনন্য নজির স্থাপন করেছে। সময়ের আগে কাজ শেষ হওয়ায় হাজার কোটি টাকাও সাশ্রয় হয়েছে।
জাপান কিন্তু বাংলাদেশের নতুন বন্ধু নয়। বরং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূচনালগ্ন থেকেই বাংলাদেশের শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে পাশে আছে দেশটি। বলা যায় জাপান বাংলাদেশের দুর্দিনের বন্ধু। এই তো কয়েক বছর আগে পদ্মাসেতুর কাজে ঋণ দিতে বিশ্বব্যাংক যখন অস্বীকৃতি জানালো, জাপান কিন্তু ঠিকই ২২ হাজার কোটি টাকায় মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ শুরু করলো। ২০২০ সালের মধ্যে মেট্রো চালু হলে এই শহরের গণপরিবহনের চিত্র অন্যরকম হবে।
বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে জাপানের সহায়তা নজিরবিহীন। অবকাঠামো ছাড়া কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য খাতেও জাপানিদের সহায়তা অনেক। বাংলাদেশকে যতো দেশ উন্নয়ন সাহায্য দেয় জাপান সেই তালিকায় সবার ওপরে। দুই দেশের এই সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ মে সরকারি সফরে জাপান যাবেন।
জাপান বাংলাদেশের পুরানো বন্ধু। সেই স্বাধীনতার সময় থেকে বাংলাদেশকে সহায়তা করে আসছে।
জাপানে বর্তমানে কমবেশি ১৫ হাজার বাংলাদেশি পড়াশোনা ও চাকরি সূত্রে অবস্থান করছেন। দুই দেশের মৈত্রীবন্ধনে এদের ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বিগত ২০ বছরে প্রায় ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স প্রেরণসহ প্রবাসীরা বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রসারে রেখেছেন কার্যকর ভূমিকা। প্রবাসীরা জাপানি ভাষা আয়ত্ত করে জাপানি পরিবার ও তাদের নিয়োগ কর্তৃপক্ষ জাপানি শিল্পোদ্যোক্তাদের কাছে বাংলাদেশে জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ-সুবিধার কথা সহজে তুলে ধরতে পারে। বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এগিয়ে এসেছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তারা। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, তারা জাপানে তাদের বাংলাদেশি কর্মচারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।
এসএইচ/