ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

এক নজরে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২০ পিএম, ২৮ মে ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ১২:২২ পিএম, ২৮ মে ২০১৯ মঙ্গলবার

দরজায় কড়া নাড়ছে বিশ্বকাপ। রাণীর দেশে আগামী বৃহস্পতিবার ‍ইংল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠতে যাচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১২তম আসরের। কোন দলের কতদূর যাওয়ার সম্ভাবনা, সেই আলোচনাও শুরু।

বাংলাদেশ বিশ্বকাপে প্রথম অংশগ্রহণ করে ১৯৯৯ সালে। তবে কখনও বিশ্বকাপ ট্রফি ঘরে তুলতে পারেনি টাইগারবাহিনী। আর বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আগের ১১টি আসরে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ কারা হয়েছিলো-

১৯৭৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) কর্তৃক বিশ্বকাপ ক্রিকেটের প্রথমবারের মতো আয়োজিত প্রতিযোগিতা। ওই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর রানার্সআপ অস্ট্রেলিয়া।

আইসিসি আয়োজিত ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার ২য় আসরটি ১৯৭৯ সালে। ওই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর রানার্সআপ ইংল্যান্ড।

১৯৮৩ বিশ্বকাপে ৮টি দেশ অংশগ্রহণ করে। ওই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত আর রানার্সআপ ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

আইসিসি আয়োজিত বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ৪র্থ আসর ১৯৮৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ব্যবসায়িক অংশীদারীত্বের কারণে এ প্রতিযোগিতাটি রিলায়েন্স বিশ্বকাপ নামে পরিচিত। ১৯৮৭ সালের ৮ অক্টোবর থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত ভারত ও পাকিস্তান- যৌথভাবে আয়োজন করে যা প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের বাইরে ২১টি ভিন্ন ভিন্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া আর রানার্সআপ ইংল্যান্ড।

১৯৯২ ক্রিকেট বিশ্বকাপ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল পরিচালিত বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পঞ্চম আসর। ব্যবসায়িক অংশীদারীত্বের কারণে এ প্রতিযোগিতাটি বেনসন এন্ড হেজেস বিশ্বকাপ নামে পরিচিতি পায়। ইংল্যান্ড দলকে চূড়ান্ত খেলায় পরাজিত করার মাধ্যমে পাকিস্তান দল প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করে।

১৯৯৬ ক্রিকেট বিশ্বকাপ আনুষ্ঠানিকভাবে উইলস বিশ্বকাপ ১৯৯৬ নামে পরিচিত। প্রতিযোগিতাটি ভারত ও পাকিস্তানে দ্বিতীয়বার এবং শ্রীলঙ্কায় প্রথমবারের মতো যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হয়। ব্যবসায়িক অংশীদারীত্বের কারণে এ প্রতিযোগিতাটি আইটিসি’র উইলস ব্র্যান্ডের সৌজন্যে উইলস বিশ্বকাপ নামে পরিচিতি পায়। পাঞ্জাবের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত খেলায় অস্ট্রেলিয়া দলকে পরাজিত করার মাধ্যমে সহঃ স্বাগতিক দল শ্রীলঙ্কা প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয় করে।

১৯৯৯ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ’৯৯ নামে পরিচিত। মূল স্বাগতিক ইংল্যান্ডের পাশাপাশি আয়ারল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডস সহঃ আয়োজকের মর্যাদা লাভ করে। লন্ডনের লর্ড’স ক্রিকেট গ্রাউন্ডে একচেটিয়াভাবে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত খেলায় পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে পরাজিত করে অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়।

২০০৩ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ হচ্ছে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ৮ম অষ্টম প্রতিযোগিতা। বিশ্বের ১৪টি দেশের জাতীয় ক্রিকেট দল এতে অংশ নেয় ও ৫৪টি খেলায় অংশগ্রহণ করে যা বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। আগেরবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া এবারের বিশ্বকাপেও বিজয়ী হয়। চূড়ান্ত খেলায় তারা ভারতীয় ক্রিকেট দলকে পরাজিত করে।

ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বিশ্বকাপে মোট ৫১টি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে ৫৪টি খেলা হয়েছিলো। ওই আসরে দুইটি অতিরিক্ত দল অংশ নেয়া সত্ত্বেও খেলা হয়েছে কম। চারটি গ্রুপে বিভক্ত মোট ১৬ টি দল এই বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ৫৩ রানে শ্রীলঙ্কাকে পরাজিত করে বিশ্বকাপ জয় করে। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় এবং গ্লেন ম্যাকগ্রাথ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।

২০১১ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশে আয়োজিত হয়েছিল আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১০ম আসরটি। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ভারত এই বিশ্বকাপে জয়ী হয়।

ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৫ আইসিসি কর্তৃক পরিচালিত ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার একাদশ আসর। এই বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড- যৌথভাবে আয়োজন করে। সর্বমোট ৪৯টি খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার খেলাটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত ঘোষিত হয়। ওই আসরের চূড়ান্ত খেলায় নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। খেলায় অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেটে জয়ী হয়ে পঞ্চমবারের মতো শিরোপা লাভ করে।

আর ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রতিযোগিতার এ দ্বাদশ আসরে ১০টি দল অংশগ্রহণ করছে। এবার প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্বের খেলাগুলো রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। এ পর্বে অংশগ্রহণকারী দশ দলই একে-অপরের বিপক্ষে একই গ্রুপে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হবে। প্রত্যেক দলই সর্বমোট নয়টি খেলায় অংশ নিবে। গ্রুপের শীর্ষ চার দল নকআউট পর্বে উপনীত হবে এবং সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেলবে। ১৯৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপেও একই প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়েছিল।