মোদির শপথে যোগ দিতে নয়া দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৪০ পিএম, ২৯ মে ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ১০:৩২ পিএম, ২৯ মে ২০১৯ বুধবার
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে নয়া দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি।
বিমানবন্দরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব টি এস ত্রিমূর্তি; ভারতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীও উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা থেকে বিকালে সফরসঙ্গীদের নিয়ে রওনা হয়েছিলেন আবদুল হামিদ। বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকায় কূটনৈতিক কোরের ডিন, ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার, তিন বাহিনী প্রধান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা।
এই সফরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার স্ত্রী রাশিদা খানমও রয়েছেন। মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠতম সদস্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক রয়েছেন রাষ্ট্রপতির সফরসঙ্গীদের মধ্যে।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন মোদী; তার প্রথম মেয়াদের শাসনকালে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছে বলে দুই দেশের পক্ষ থেকেই বলা হচ্ছে।
শপথ অনুষ্ঠান শেষে ভারতের রাষ্ট্রপতির দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেবেন আবদুল হামিদ। নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনের ওই নৈশভোজে শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরাও অংশ নেবেন।
আগামী ৩১ মে শুক্রবার সকালে নয়া দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে আবদুল হামিদের সঙ্গে মোদীর সাক্ষাতের সূচি রয়েছে। তিন দিনের সফর শেষে ওই দিন বিকালে একটি ভিভিআইপি বিমানে (বিজি-১৫১৪) রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের পর বিপুল বিজয় নিয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বিজেপি; দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন মোদী।
মোদী প্রথমবার শপথ নেওয়ার সময় প্রতিবেশী দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেই সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
গত রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদি যখন শপথ নেন তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানে ছিলেন। এবারো তিনি মোদির শপথ নেওয়ার সময় জাপান সফরে থাকবেন। তবে গতবার প্রধানমন্ত্রী জাপান সফরে থাকায় তার পরিবর্তে স্পিকার শিরীন শারমিন দিল্লিতে মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। এবার স্পিকারের পূর্বনির্ধারিত আরেকটি অনুষ্ঠান থাকায় তিনিও দিল্লি যেতে পারছেন না।
প্রধানমন্ত্রী ফিনল্যান্ড থেকে লন্ডন হয়ে ঢাকা ফিরবেন: জাপান, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ড- তিন দেশ সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৮ জুন দেশে ফিরবেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হেলসিংকি থেকে নয়াদিল্লিতে ১২ ঘণ্টার যাত্রা বিরতির কথা ছিল। কিন্তু এই কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। কূটনৈতিক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী হেলসিংকি থেকে লন্ডন হয়ে ঢাকায় ফিরবেন।
আরকে//