ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

কৃতজ্ঞতা মানুষকে প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম করে

ডা. আহমদ মরতুজা চৌধুরী :

প্রকাশিত : ০২:৩৯ পিএম, ৩০ মে ২০১৯ বৃহস্পতিবার

মানুষ যখন সারা বিশ্বজুড়ে স্রষ্টার সীমাহীন সাম্রাজ্যের দিকে দৃষ্টিপাত করে কৃতজ্ঞচিত্ত হয়ে যায়, তখন তার অহমবোধ বিলুপ্ত হয় ও তার অন্তরচক্ষু খুলে যায়। তখন সে বুঝতে পারে এই পৃথিবীতে অতিক্ষুদ্র থেকে অতিবৃহৎ, দৃশ্যমান থেকে অদৃশ্য কোনো কিছুই প্রভু অর্থহীন সৃষ্টি করেননি। আর মানবজাতি কোন বিচ্ছিন্ন সত্তা নয় বরং এ বিশ্বের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।

প্রকৃতিতে সূর্য, পৃথিবী, চন্দ্র ও আলোক রশ্মিকে যেভাবে নির্দেশ করা হয়েছে সেভাবে চলছে। প্রত্যেকেই স্রষ্টা নির্ধারিত সীমার মাঝে তার দায়িত্ব পালন করার মধ্য দিয়ে প্রকৃতিকে সুন্দর করে রেখেছে। এই পৃথিবীতে স্থলভাগ, সমুদ্র, বাতাস, মেঘ, বৃষ্টি, মাটির অণুজীব, উদ্ভিদ, প্রাণী কেউ কারো চেয়ে বিচ্ছিন্ন নয়।

যেহেতু সবাই এক স্রষ্টার নিয়ম মেনে চলছে, তাই প্রকৃতিতে শান্তি বিরাজমান। শুধু মানুষকে আল্লাহ স্বাধীন করে সৃষ্টি করেছেন। সে ইচ্ছে করলে প্রকৃতিতে বিরাজমান এই ছন্দকে অনুভব করে তার নেপথ্যে ক্রিয়াশীল স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞ হয়ে নিজেকে সমর্পিত করে দিতে পারে এবং প্রকৃতির ছন্দের সঙ্গে একাত্ম হয়ে শান্তি ও সমৃদ্ধির রাজপথ ধরে চলতে পারে।

অন্যদিকে সে ইচ্ছে করলে প্রকৃতির নেপথ্য স্পন্দনের সঙ্গে একাত্ম না হয়ে অহঙ্কারী ও স্বেচ্ছাচারী হয়ে প্রকৃতির ছন্দের বিপরীতে অবস্থান নিতে পারে এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় জরা ব্যাধি দুর্দশা ডেকে আনতে পারে।

স্রষ্টার ইচ্ছার কাছে সমর্পণের মধ্য দিয়েই মানুষ প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হয় ও কৃতজ্ঞতার পথ ধরে চলা শুরু করে।

‘তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে সাত আসমান ও পৃথিবী এবং এদের অন্তর্বর্তী যা কিছু আছে। আর এমন কিছু নেই যা তাঁর প্রশংসার সঙ্গে পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে না কিন্তু তাদের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা তোমরা বুঝতে পার না। নিশ্চয় তিনি অতি সহনশীল ও ক্ষমাশীল।’ (সূরা ইব্রাহিম ১৪/৪৪)

(শোকরিয়া, প্রশান্তি ও প্রাচুর্যের রাজপথ গ্রন্থ)

এএইচ/