মোদির শপথ
রাষ্ট্রপতি ভবনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:৫১ পিএম, ৩০ মে ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৩:২২ পিএম, ৩০ মে ২০১৯ বৃহস্পতিবার
আনুষ্ঠানিকভাবে শপথের মধ্যদিয়ে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এতে উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের আমন্ত্রিত অতিথিরা। স্বাভাবিকভাবেই এ অনুষ্ঠান যে রাজকীয় ও জাঁকজমকে হবে, তা সহজেই অনুমান করা যায়।
প্রায় আট হাজার অতিথি উপস্থিত থাকবেন এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে। রাষ্ট্রপতি ভবনের ইতিহাসে এটাই হবে সব থেকে বড় অনুষ্ঠান।
অতিথিদের পরিবেশন করা হবে ‘হাই-টি’ আর নৈশভোজের আতিথ্য করবেন স্বয়ং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। বিমস্টেক দেশগুলির প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে এই অনুষ্ঠানে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, নয়া প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে ৮ হাজারের বেশি মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভবনে এর আগে এত বড় অনুষ্ঠান কখনো দেখেনি ভারতবাসী।
২০১৪-র মত এবারও রাষ্ট্রপতি ভবনের ফোরকোর্টে হবে অনুষ্ঠান। আগেরবার এখানে উ্পস্থিত ছিলেন ৫০০০ অতিথি। সংখ্যাটা এবার বেড়েছে।
জানা গেছে, চায়ের সঙ্গে থাকবে সামোসা, পনির দিয়ে তৈরি স্ন্যাক্স ও মিষ্টি। আর রাষ্ট্রপতির নৈশভোজে থাকবে একাধিক স্পেশাল ডিশ। নৈশভোজে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী মোদিও। সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। তাই ডিনার হবে একটু দেরিতে।
বিমস্টেক দেশগুলোর প্রধানদের মধ্যে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈত্রিপালা সিরিসেনা, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট ইউ উইন ময়িন্ত, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং।
এদিকে, শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেও যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নিজের টুইটারে স্পষ্টভাবে মমতা জানিয়েছেন যে, তিনি মোদির শপথে যাচ্ছেন না।
তার মতে, ‘এই শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান গণতন্ত্র উদযাপনের অনুষ্ঠান, এখানে কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে কাউকে কটাক্ষ করা উচিত নয়৷’
অপরদিকে, বিমেস্টেকভূক্ত দেশগুলো মোদির শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেও, রাজনৈতিক বৈরিতায় দাওয়াত পাননি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
আই//