জাকাত, ফিতরা আদায় হয়েছে কি?
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:২৮ এএম, ৩১ মে ২০১৯ শুক্রবার
আজ পঁচিশ রমজান। বিদায়ের হাত নাড়ছে রমজান। আর মাত্র চার থেকে পাঁচটি দিন আছে এই রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। তারপরেই আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিবে রমজান। জাকাত সম্পদকে পরিশুদ্ধ করে এবং দারিদ্র্য বিমোচন করে। ফিতরা একমাত্র গরীবের হক। জাকাতের অর্থ গরীব এবং আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করতে হয়। ফিতরা যেহেতু ঈদের আগেই পরিশোধ করতে হবে, তেমনি জাকাত রমজানে আদায় করলে বেশি সওয়াব পাওয়া যাবে।
গরীবরা যাতে ঈদের খরচ মেটাতে পারেন এবং ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন এই জন্য ফিতরা। ফিতরা ঈদের এক বা দুই দিন আগে বিতরণ করা উত্তম। কারণ যাকে এটি দেওয়া হবে তিনি যাতে ঈদের সামগ্রী কেনাকাটায় তা ব্যয় করতে পারেন। তাই সময় এসেছে, ফিতরা বিতরণের প্রস্তুতি নিয়ে নিন।
নিসাব পরিমাণ (ইসলামী শরিয়া আইনের বিধান) সম্পদের মালিক তাকে জাকাত প্রদান করতে হবে। যারা এখনও জাকাত বিতরণ করেননি তারা সম্পদের হিসাব করে জাকাতের পরিমাণ বের করে নিন এবং বিতরণ করুন। গরীব আত্মীয়-স্বজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে আশপাশের গরীবদের মাঝে বিতরণ করুন। এর সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর রাস্তায় অর্থাৎ এতিমখানা এবং মাদ্রাসায় দেয়ার বিধান রয়েছে। আপনি কেন বেশি সওয়াব থেকে বঞ্চিত হবেন। রমজান মাসের মধ্যেই বিতরণ করুন।
জাকাত নগদ অর্থের মাধ্যমে আদায় করুন। এর দ্বারা জাকাত গ্রহণকারী নিজের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে খরচ করতে পারবেন। জাকাতে শাড়ি, কাপড় ও লুঙ্গি বিতরণের কালচার থেকে বেরিয়ে আসুন। গরীবদেরকে স্বাবলম্বী করার পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হোন। ৫০ অথবা ১০০ জনকে না দিয়ে এই অর্থ ৫ জন অথবা ১০ জনকে প্রদান করুন। জাকাত গ্রহীতা এই অর্থ দিয়ে রোজগারের উপকরণ কিনতে পারে বা ক্ষুদ্র ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে পারে। তাতে গ্রহীতার অভাব দূর হবে। এভাবে প্রতিবছর গরীবরা স্বাবলম্বী হবে।
এতিমখানায় ছাত্ররা বিনামূল্যে খাবার এবং পড়াশুনার সামগ্রী পেয়ে থাকে। তাই এখানে জাকাতের অর্থ প্রদান করা যায়। জাকাতের কিছু অংশ এদের জন্য বরাদ্দ রাখুন।
সময় কিন্তু বেশি নেই রমজান শেষ হতে আর মাত্র চার থেকে পাঁচ দিন বাকি। এরমধ্যে আপনি রমজানের সুফল লাভ করুন।
এএইচ/