ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

আজ লাইলাতুল কদর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১৪ এএম, ১ জুন ২০১৯ শনিবার

লাইলাতুল কদরের অর্থ সম্মানিত রজনী। এ রজনী এত সম্মানিত যে, এক হাজার মাস ইবাদত করলেও যে সওয়াব হতে পারে তার চেয়ে লাইলাতুল কদরের ইবাদতে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। এই রাত লুকায়িত আছে রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে।

অধিকাংশ আলেম সমাজের মত হচ্ছে রমজানের ২৭ তারিখের রাতই লাইলাতুল কদর। আজ শনিবার ২৬ রমজান। সূর্যাস্তের পর ২৭ রমজানের রাত শুরু অর্থাৎ পবিত্র শবে কদরের রাত।

কোরআন শরীফে আল্লাহতায়ালা বলেন : ‘আমি কোরআনকে কদরের রাতে নাযিল করেছি। কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।’ (সূরা কদর ১, ৩), ‘এই রাতে সব ব্যাপারে জ্ঞানগর্ভ ফয়সালা প্রকাশ করা হয়ে থাকে।’ (সূরা দোখান ৪)

অর্থাৎ কোরআন শরিফ নাজিলের সঙ্গে রাতটি সম্পর্কিত হওয়ায় কদরের এত মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য। রাব্বুল আলামিন মুসলিম উম্মার জন্য হাজার মাসের চেয়েও উত্তম করেছেন লাইলাতুল কদরকে এবং এই রাতে বান্দার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ফয়সালা দিয়ে থাকেন।

আল্লাহতায়ালা আরও বলেছেন, ‘ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত ওই রাতটি পুরোপুরি শান্তিময়।’ (কদর ৫)

অর্থাৎ পুরো রাতটি মুসলিম উম্মার জন্য কল্যাণকর। এ রাতের সুফল পুরোপুরিভাবে পেতে কোরআন শরিফের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করাই আসল কাজ। বুঝে বুঝে কোরআন পাঠ, কোরআনের মর্ম অনুধাবন, নিয়মিত অধ্যয়ন এবং কোরআনের বিধান ও নির্দেশনা অনুসরণে জীবন যাপনই মুমিনের জীবনের সাফলতার চূড়ান্ত স্তর।

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি কদরের রাতে ঈমান সহকারে সওয়াবের আশায় ইবাদত করে তার পূর্বের গুণাহসমূহ মাফ করা হয়। (বুখারী)

মুমিন বান্দারা কদরের রাতটিকে পাওয়ার আশায় মুখিয়ে থাকেন। এর ফজিলত লাভের আশায় অনেকেই ইতিকাফে বসেন। এই রাতে বেশি বেশি নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত ও জিকির-তাসবিহের সঙ্গে যেমন অতীত জীবনের পাপ মোচনের জন্য প্রভুর কাছে আকুল আবেদন জানাবেন, তেমনি তাঁর কাছে সাহায্য চাইতে হবে আল কোরআনের আলোকে আগামীর দিনগুলো অতিবাহিত করার।

হে আরশের মালিক! পবিত্র রমজান পেয়েও আমরা এর পুরো ফজিলত হাসিল করতে পারিনি, যেভাবে ইবাদত-বন্দেগি করার দরকার ছিল তা আমরা করতে পারিনি, কিন্তু এই পবিত্র রাতের উসিলায় রমজান মাসের পুরো ফজিলত দান কর, যেভাবে তুমি তোমার প্রিয় বান্দাদেরকে দান করেছ। আমাদেরকে জাহান্নামের আজাদ রক্ষা কর, আমাদের জন্য যা কল্যাণকর তা থেকে বঞ্চিত করো না, আমরা তো তোমার কাছে আত্মসমর্পণ করেছি, তুমি তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। আমিন! 

এএইচ/