ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

চাপে মমতা!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০৩ এএম, ১ জুন ২০১৯ শনিবার

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় লাভের পর গত বৃহস্পতিবার (৩০মে) নরেন্দ্র মোদি সরকার গঠন করে। তার সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অমিত অনিল চন্দ্র শাহকে। এদিকে ভোটের বিচারে আগের তুলনায় খুব একটা ভালো করতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে-দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের যে পরিবর্তন এসেছে তাতে কি মমতা চাপে পরবেন?

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতা স্বস্তিতে থাকবেন এটা বলা যাবে না। কারণ, রাজ্য থেকে মন্ত্রী যারাই হোন, কেন্দ্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বসে থাকছেন অমিত শাহ। যদি ‘চাপ’ বলে কিছু থাকে, তা হলে এটাই এ রাজ্যের পক্ষে আপাতত সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের দায়িত্বেই। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা নানাভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। রাজ্যকে প্যাঁচে ফেলার মতো বিবিধ প্রকরণও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে রয়েছে।

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মূল্যায়ন, বিভিন্ন ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবি পর্যালোচনা, প্রয়োজনে ব্যবস্থা নিতে রাজ্যকে চাপ দেওয়া, সর্বোপরি নিয়মিত রাজ্যের রিপোর্ট দেখা ও তার পরিপ্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নেওয়া এ সবই শাহের কাজের মধ্যে পড়বে।

অনেকে এমনও বলে থাকেন, দেশের রাজ্যগুলোর ‘রিমোট কন্ট্রোল’ নাকি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে!

এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে মমতার ‘সুসম্পর্ক’ গোপন ছিল না। এমনকি, মোদীর বিকল্প হিসেবে রাজনাথকে তার পছন্দ বলেও একাধিকবার জানিয়েছেন মমতা।

রাজনৈতিক মহলে এমন একটি ধারণাও তৈরি হয়েছিল যে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে রাজনাথ পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি বহু ক্ষেত্রে ‘নরম’ মনোভাব নিয়েছেন।

কিন্তু শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চেয়ারে বসার পরে রসায়নটা যে এবার আমূল বদলে যাবে, সেটাই যুক্তিযুক্ত। আর সবাই জানেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রধান সেনাপতি তো অমিত শাহই।

শাহের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সম্পর্ক তো নেই-ই, রাজনৈতিকভাবেও তাদের মধ্যে বিরোধিতা এক চরম জায়গায় পৌঁছেছে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জায়গা দিতে রাজি নন।

বিজেপি সভাপতি হিসেবে শাহ গোড়া থেকেই মমতাকে যত দ্রুত সম্ভব পর্যুদস্ত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছেন। রাজ্যে মমতা সরকারের অবসান ঘটানো তার ঘোষিত শপথ।

এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও সেই কাজে শাহ যত দূর সম্ভব ‘কার্যকর’ ভূমিকা নেবেন, তা অনুমান করা যায়। মমতার পক্ষে এটাই বড় চাপ। রাজ্য থেকে বিজেপির কারা কী মন্ত্রী হলেন এই ‘চাপে’র কাছে তা নিতান্তই গৌণ।

তথ্যসূত্র : আনন্দবাজার

এমএইচ/